সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভ্যাকসিন উৎপাদনে আরও একটি পালক জুড়ল ভারতের মুকুটে। এবার জরুরিকালীন ব্যবহারের জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) ছাড়পত্র পেল সেরাম ইনস্টিটিউটে তৈরি করোনার ভ্যাকসিন কোভোভ্যাক্স। টুইট করে সুখবর জানালেন উচ্ছ্বসিত আদর পুনাওয়ালা।
আমেরিকায় তৈরি করোনার প্রতিষেধক নোভাভ্যাক্সকে ‘কোভোভ্যাক্স’ নামে ভারতে উৎপাদনের দায়িত্ব পেয়েছিল পুণের সেরাম ইনস্টিটিউট। এই টিকার ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের নথি খতিয়ে দেখার পর শুক্রবার কোভোভ্যাক্সকে জরুরি সময়ে ব্যবহারের জন্য স্বাকৃতী দিল WHO। এই ঘোষণার পরই টুইট করে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন সেরাম কর্তা আদর পুনাওয়ালা। লেখেন, “কোভিড-১৯-এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আরও এক সাফল্য পেলাম আমরা। এবার জরুরি কালীন ব্যবহারের জন্য হু-এর ছাড়পত্র পেল কোভোভ্যাক্স। এটি নিরাপদ এবং কার্যকারিতা দেখেই এটিকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। সকলকে অসংখ্য ধন্যবাদ।”
[আরও পড়ুন: Kolkata Civic Polls: পুরভোটে মদন মিত্র ও নচিকেতার যুগলবন্দি, প্রকাশ্যে থিম সং ‘খেলার গান’]
এদিন এক বিবৃতিতে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার তরফে বলা হয়, “কোভোভ্যাক্স সংক্রান্ত সমস্ত নথি ভালভাবে পরীক্ষা করার পর বিশেষজ্ঞরা নিশ্চিত হয়েছেন যে করোনার প্রতিষেধক হিসেবে এই ভ্যাকসিনটি যথেষ্ট কার্যকর। পাশাপাশি টিকাপ্রাপকদের জন্য এটি যথেষ্ট নিরাপদও। তাই বিশ্বব্যাপী টিকাটিকে জরুরিকালীন ব্যবহারের জন্য ছাড়পত্র দেওয়া হল।” এই নিয়ে মোট ন’টি টিকাকে জরুরিকালীন ব্যবহারের জন্য স্বীকৃতি দিয়েছে WHO।
বিশ্বজুড়ে এখনও দাপট দেখাচ্ছে করোনা। নয়া আতঙ্কের নাম এখন ওমিক্রন। হু বলছে, নয়া ভ্যারিয়েন্টের বাড়বাড়ন্তের একমাত্র হাতিয়ার এখন টিকাকরণ। আর তাতে জোর দিতেই বেশি সংখ্যক ভ্যাকসিনকে ছাড়পত্র দেওয়া হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত ৯৮টি দেশ ৪০ শতাংশ টিকাকরণে করতে সফল হয়নি। তবে বিজ্ঞানীদের আশা, বেশি সংখ্যক টিকা স্বীকৃতি পেলে টিকাকরণেও গতি আসবে।