সুকুমার সরকার, ঢাকা: ইফতারের নৈশভোজ অনুষ্ঠানে অন্যান্য নানা পদের সঙ্গেই পরিবেশন করা হয়েছিল গোমাংসের একটি পদ। আর তা থেকেই ঘনীভূত হল তীব্র বিতর্ক। সংবাদমাধ্যমের কাছে এই নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিলেন ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত হিন্দু অতিথিদের মধ্যে অনেকেই। ঘটনা বাংলাদেশের সিলেটের। বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট পার্টি তথা বিএনপি-র তরফে আয়োজিত একটি ইফতার পার্টিতে ঘটেছে এই ঘটনা। এই নিয়ে শুরু হয়েছে চাপানউতোর। বিশেষ করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে তীব্র জনরোষ।
[আরও পড়ুন: আরও মজবুত দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক, এবার ‘নলেজ পার্টনার’ হয়ে কাজ করবে ভারত-বাংলাদেশ]
ঠিক কী ঘটেছিল? দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার নেতৃত্বাধীন বিএনপি-র (BNP) সিলেট ইউনিটের তরফে আয়োজিত ইফতার পার্টিতে গত বৃহস্পতিবার উপস্থিত ছিলেন দলেরই অন্তত ২০ জন হিন্দু নেতা এবং অন্যান্য হিন্দু সমাজকর্মীবৃন্দ। খাবার পরিবেশন হলে দেখা যায়, প্রতিটি প্লেটেই রয়েছে গোমাংসের পদ। এবং মাংসের পদ হিসাবে এটি ছাড়া বিকল্প কোনও পদ নেই। এর পরই ছড়িয়ে পড়ে জনরোষ। হিন্দু নেতা-কর্মীরা ছাড়াও ক্ষুব্ধ হন আমন্ত্রিত হিন্দু সাংবাদিকরাও।
পরে ফেসবুকেই বিএনপি-রই কিছু স্থানীয় নেতা-কর্মীরা বিষয়টি জানান। মন্টু নাথ নামে একজন লেখেন, ‘গোমাংস ছাড়া মাংসের পদের কোনও বিকল্প ছিল না। মুসলিম ভাইরা রোজা ভাঙলেন। আমরা শুধু দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখলাম।’ আবার বিএনপি-র ছাত্র সংগঠনের এক স্থানীয় নেতার বক্তব্য, “ওঁরা ইফতার উপভোগ করলেন। আর আমরা শুধু তাকিয়ে রইলাম।” ঘটনার প্রেক্ষিতে বিএনপি-র তরফে এই ‘ভুল’-এর কথা স্বীকার করে নেওয়া হলেও ক্ষমা চাওয়া হয়নি।
উল্লেখ্য, বিগত দিনে দুর্গাপুজোর মণ্ডপে হামলা থেকে শুরু করে মৌলবাদীদের তাণ্ডবে বংলাদেশে (Bangladesh) আতঙ্কিত সংখ্যালঘুরা। এহেন পরিস্থিতিতে বিএনপির ইফতার পার্টিতে গোমাংস বিতর্কে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে দেশটিতে। অভিযোগ, বিএনপির বিরুদ্ধে বরাবরই হিন্দু নিধনকারীদের পাশে দাঁড়ানোর অভিযোগ রয়েছে। জামাতের যুদ্ধাপরাধীর সঙ্গে খালেদা জিয়ার দলের সম্পর্ক নতুন কিছু নয়।