সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের স্বঘোষিত গো-রক্ষকদের তাণ্ডব। গরু পাচারের অভিযোগে এক ব্যক্তিকে গুলি করে মারা হল। ঘটনাস্থল সেই রাজস্থানের আলোয়ার। যেখানে গত কয়েক মাসে একাধিকবার এমন তাণ্ডবের ঘটনা ঘটেছে।
[পেহলু খানকে কেউ মারেনি! অভিযুক্ত ৬ হিন্দুর বিরুদ্ধে বন্ধ তদন্ত]
পুলিশ সূত্রে খবর, হরিয়ানা থেকে একটি পিক ভ্যানে চারটি গরু আনছিলেন উমর মহম্মদ, তাহির খান এবং আরও এক ব্যক্তি। রাজস্থান-হরিয়ানা সীমান্তের কাছে আলোয়ারের ফাহারি গ্রামে তাদের গাড়ি আটকায় কয়েকজন গো-রক্ষক। অভিযোগ উমর এবং তাহিরকে বিনা প্ররোচনায় মারতে থাকে কয়েকজন। এর মধ্যে কেউ গুলি ছোড়ে। গুলি মাথায় লাগে উমরের। ঘটনাস্থলে মারা যান উমর খান। গুলিবিদ্ধ হন তাহির। কোনওভাবে পালিয়ে বাঁচেন উমরদের এক সঙ্গী। তাহিরের অবস্থা আশঙ্কাজনক। উমরের বাড়িতে স্ত্রী ছাড়াও আট সন্তান রয়েছে। উমর এবং তাহির মেওয়াত সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি। এই ঘটনা জানাজানি হতে ওই সম্প্রদায়ের লোকজন বেজায় ক্ষুব্ধ। হত্যার প্রতিবাদে তাঁরা বিক্ষোভ দেখান। বিক্ষুব্ধদের অভিযোগ, তাণ্ডবের সময় ঘটনাস্থলে ছিল পুলিশ। তবু তারা কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। এমনকী এই ঘটনায় কাউকে গ্রেপ্তারও করা হয়নি। স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য জানান, এই নিয়ে গুলি চালানোর পাশাপাশি বেদম মারা হয়। মৃতের এক আত্মীয়র বক্তব্য, উমরকে কে মেরেছে, কেন মারা হয়েছে তা তাঁরা বুঝতে পারছেন না। তবে পুলিশের দাবি অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে গ্রামবাসীরা তাঁদের জানিয়েছেন আক্রান্তরা গরু পাচারকারী। আদৌ তাঁরা পাচারকারী কিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
[১১ ঘণ্টা ক্লাস, একগাদা হোমওয়ার্কের প্রতিবাদে ধরনায় পড়ুয়ারা]
গত বছরের এপ্রিলে এই আলোয়ারে খুন হয়েছিলেন দুধ ব্যবসায়ী পেহলু খান। উমর যেখানে খুন হয়েছেন তার থেকে কয়েক কিলোমিটারের মধ্যে মার খেয়েছিলেন পেহলু। বেধড়ক পিটিয়ে মারা হয়েছিল মাঝবয়সী ওই ব্যক্তিকে। এই ঘটনায় অভিযুক্ত ৬ জনের বিরুদ্ধে সম্প্রতি তদন্ত বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে রাজস্থান সরকার। প্রমাণ না মেলায় অভিযুক্তদের ক্লিনচিট দিয়েছে আদালত। এদিনের ঘটনার পর মৃতের পরিবারের আশঙ্কা, দোষীরা ধরা পড়লেও আইনের ফাঁক গলে ছাড়া পেয়ে যেতে পারে। সাধারণ মানুষের মনে এখন আস্থা ফেরানো প্রশাসনের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ।
The post গো-মাংস পাচারের অভিযোগে গো-রক্ষকদের গুলি, মৃত্যু ব্যবসায়ীর appeared first on Sangbad Pratidin.