স্টাফ রিপোর্টার: জেলায় জেলায় পিঁয়াজের কালোবাজারি রুখতে এবার বাজারগুলিতে হানা দিলেন জেলা প্রশাসনের শীর্ষ কর্তারা। আবার বড়বাজারের পোস্তায় পিঁয়াজের মজুতদারদের গোডাউনে হাজির হয়ে বিস্তারিত খবর নিলেন কলকাতার নগরপাল অনুজ শর্মা। পাশাপাশি রাজ্যজুড়ে সুফল বাংলার স্টল এবং স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মাধ্যমে ভরতুকি দিয়ে ৫৯ টাকা কিলো দরে পিঁয়াজ বিক্রি করছে রাজ্য সরকার। সোমবার সকালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে হাজির হন যদুবাবুর বাজারে। পিঁয়াজের দাম নিয়ে ক্রেতাও বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলেন। এই ঘটনার পরই নড়েচড়ে বসল প্রশাসন। জেলায় জেলায় প্রশাসনিক মহলে সরকার নির্ধারিত দামে পিঁয়াজ বিক্রির জন্য আরও তৎপরতা শুরু হল।
এদিন সকালে দক্ষিণ ও উত্তর চব্বিশ পরগনার দুই জেলাশাসক মঙ্গলবার সকালে আচমকা হাজির হন জেলার কয়েকটি বাজারে। সরকার নির্ধারিত দামে পিঁয়াজ যাতে বিক্রি হয় তার জন্য কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন তাঁরা। দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার জেলাশাসক এদিন সকাল ন’টা নাগাদ প্রশাসন ও পুলিশের আধিকারিকদের নিয়ে হাজির হন বারুইপুর কাছারিবাজারে। সটান ঢুকে যান পিঁয়াজ বিক্রেতা ও ক্রেতাদের কাছে। পিঁয়াজের দামে রাশ টানতে সুফল বাংলার স্টলের পাশাপাশি ডায়মণ্ডহারবার ও বারুইপুরে প্রতিদিন তিন মেট্রিক টন করে পিঁয়াজ আনা হবে। জেলাশাসক জানিয়েছেন, “স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মাধ্যমে সেই পিঁয়াজ সোনারপুর, নরেন্দ্রপুর, সুভাষগ্রাম সহ কাকদ্বীপ ও সুন্দরবন এলাকায় ৫৯ টাকা কেজি দরে বিক্রি হবে। জেলা প্রশাসনের আধিকারিকদের সব বাজারে পিঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখার নির্দেশ দেন তিনি।
[আরও পড়ুন: অগ্নিমূল্য শাক-সবজি, বাজারে গিয়ে সরেজমিনে নজরদারি মুখ্যমন্ত্রীর]
এদিকে উত্তর চব্বিশ পরগনার জেলাশাসক চৈতালি চক্রবর্তীও কয়েকটি বাজারে পিঁয়াজের দাম নিয়ে খোঁজখবর নেন। তাঁর কথায়, “বারাসাত, বনগাঁ, বাদুড়িয়া থেকে বারাকপুর শিল্পাঞ্চল ও অন্যান্য জায়গায় নায্য দামে পিঁয়াজ বিক্রি হবে এদিন থেকেই। যেহেতু পিঁয়াজের যোগান কম তাই, সুফল বাংলার স্টল বাদে এই সব এলাকায় স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মাধ্যমে ৫৯ টাকা কেজি দরে পরিবার পিছু ৫০০ গ্রাম করে পিঁয়াজ বিক্রি হবে। পরে জোগান বাড়লে বিক্রির পরিমাণও বাড়ানো হবে।” তাঁর কথায় এসডিওরা নিজে বিভিন্ন বাজারে যাচ্ছেন। ব্লকস্তরে কেন্দ্র করা হয়েছে ন্যায্য দামে পিঁয়াজ বিক্রির জন্য।
দুপুর সাড়ে বারোটা নাগাদ পুলিশ কমিশনার হাজির হন শিয়ালদহ কোলে মার্কেটে। পিঁয়াজের পাইকারি ও খুচরো বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলেন। টাস্কফোর্স সূত্রে খবর, এদিনই প্রায় ১৫০টি সুফল বাংলার গাড়ি কলকাতার বিভিন্ন বাজারে ঘুরে ঘুরে পিঁয়াজ বিক্রি করেছে। ক্রেতাদের মাথাপিছু ৫০০ গ্রাম করে পিঁয়াজ বিক্রি করা হয়েছে। বস্তুত, পিঁয়াজের দাম সাধারণের নাগালের মধ্যে রাখতে প্রশাসনিক মহলে আরও তৎপরতা শুরু হয়েছে।
[আরও পড়ুন: পিঁয়াজ ছাড়াই রান্নায় মিলবে পিঁয়াজের স্বাদ, বাজারে এল নয়া ফর্মুলা]
The post পিঁয়াজের কালোবাজারি রুখতে এবার কলকাতার বাজারে হানা নগরপালের appeared first on Sangbad Pratidin.