বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত: পুরভোটে কংগ্রেসের (Congress) সঙ্গে জোট নিয়ে উত্তপ্ত হল বামফ্রন্টের বৈঠক। ভোটে কংগ্রেসের সঙ্গে জোটের রাস্তায় হাঁটবে না বামফ্রন্ট শরিক ফরওয়ার্ড ব্লক। যেখানেই সিপিএম (CPIM) ‘হাত’ ধরবে সেখানেই তাঁরা প্রার্থী দেবে বলে আলিমুদ্দিনকে সাফ জানিয়ে দিল ফ্রন্টের এই শরিক। কংগ্রেসের তরফে জোট নিয়ে এখনও কোনও প্রস্তাব আসেনি। তাই এখনই আলোচনার প্রয়োজন নেই বলে জানিয়ে পরিস্থিতির সামাল দেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান। ১৭ নভেম্বর ফের বৈঠক হবে বলে জানা গিয়েছে।
কংগ্রেসের হাত ধরা নিয়ে শরিকদের সঙ্গে সিপিএমের বিবাদ গত বিধানসভা ভোট থেকে। বারবার কংগ্রেসের সঙ্গে সখ্যতা নিয়ে সিপিএমের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে ফ্রন্ট শরিক ফরওয়ার্ড ব্লক। এমনকী, বামফ্রন্ট ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার হুমকিও দেয় নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর দলের বর্তমান নেতৃত্ব। যদিও তাতে বিশেষ আমল দেয়নি আলিমুদ্দিন। তার ফল মিলেছে হাতেনাতে। কংগ্রেস ও ইন্ডিয়ান সেক্যুলার ফ্রন্টের সঙ্গে জোট করে স্বাধীনতার পর এই প্রথম শূন্য হাতে ফিরতে হয়েছে বামেদের। এবার পুরভোটের ঢাকে কাঠি পড়তেই পুরনো দ্বন্দ্ব ফের মাথাচাড়া দিল।
[আরও পড়ুন: বাংলা-সহ ৩ রাজ্যে বিএসএফের ক্ষমতা বৃদ্ধির বিরুদ্ধে সোচ্চার অপর্ণা সেন]
সোমবার পুরো ভোট নিয়ে আলোচনা করতে বামফ্রন্টের বৈঠক ডাকেন চেয়ারম্যান বিমান বসু। বৈঠকে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট নিয়ে নিজেদের কড়া অবস্থানের কথা জানিয়ে দেয় ফরওয়ার্ড ব্লক নেতৃত্ব। ভোটে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট হলে দল সেই জোটে থাকবে না বলে সিপিএম নেতৃত্বকে বৈঠকে জানান ফরওয়ার্ড ব্লকের নেতারা। দলের কেন্দ্রীয় কমিটি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলেও জানিয়ে দেন নরেন চট্টোপাধ্যায় ও হাফিজ আলম সাইরানিরা। যদিও ফ্রন্টের অন্য কোনও শরিক কংগ্রেসের বিরোধিতা করেনি বলেই জানা গিয়েছে।
পুরভোটে যেখানে বামেরা প্রার্থী দিতে পারবে না সেখানে কী হবে? এই প্রসঙ্গে ঠিক হয়, এক্ষেত্রে তৃণমূল ও বিজেপি বিরোধী কোনও প্রার্থী থাকলে তাকে সমর্থন করবে বামেরা। তবে কলকাতা ও হাওড়ার ক্ষেত্রে ফ্রন্টের শরিকরা কে কত আসনে এবং কোন আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে সেই সিদ্ধান্ত অবশ্য এই দিনের বৈঠকে হয়নি।