স্টাফ রিপোর্টার: ইস্যু নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের লাগামছাড়া মূল্যবৃদ্ধি। সঙ্গে কর্মসংস্থানের দাবিতে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ কর্মসূচি নিয়ে বুধবার থেকে পথে নামছে ১৫টি বামদল ও সহযোগী দল। ৩১ মে কেন্দ্রীয় সমাবেশ ধর্মতলায়। কিন্তু লক্ষ্য আরও গভীর। মূলত সিপিএম (CPIM)-ই এর প্রধান উদ্যোক্তা। যা যা কর্মসূচি দেওয়া হচ্ছে, সে সব ঠিক ঠিক পালন হচ্ছে কি না তা নিয়ে নজরদারির পথে যাচ্ছে তারা। আর এই নজদারি চলবে ডিজিটালি। অর্থাৎ কোথায়, কী কর্মসূচি পালন হচ্ছে তার ভিডিও জমা করতে হবে রাজ্য পার্টি অফিসে। প্রয়োজনে কর্মসূচি পালনের লাইভ স্ট্রিমও করা হবে।
জাতীয় স্তরে পাঁচটি বামদল এই কর্মসূচির ডাক দিয়েছে। রাজ্যে তাদের সঙ্গে সহযোগী হিসাবে আছে পিডিএস, আরজেডি, সিপিআইয়ের মতো দল। সিপিএমের বর্ষীয়ান নেতা রবীন দেব জানাচ্ছেন, কল-কারখানা, বাজার-সহ ব্লক, মহকুমা স্তরে সমস্ত সরকারি অফিসের সামনে এই ধরনের বিক্ষোভ কর্মসূচি চলবে।
[আরও পড়ুন: অতিরিক্ত উত্তেজনাই কাল! হোটেলের রুমে প্রেমিকার সঙ্গে সঙ্গমরত অবস্থায় মৃত্যু বৃদ্ধের]
বিগত কয়েকটি ভোটে দেখা যাচ্ছে তৃণমূলের থেকে দীর্ঘ দূরত্ব রেখেও কোথাও কোথাও দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে বামেরা। সদ্য বালিগঞ্জের ভোটেও একই ট্রেন্ড। হেরে গিয়েও তাই দ্বিতীয় হওয়ার মিছিল বের করেছিল সিপিএম। কিন্তু বিগত কয়েক বছরের রিপোর্টে দেখা গিয়েছে কর্মসূচি দিলেও তা ঠিকমতো পালিত হওয়ার কোনও প্রমাণ মেলেনি। কলকাতায় ছাত্র ও যুব সংগঠনের ভরসায় সেই কর্মসূচি পালন করতে নামলেও জেলায় হতশ্রী দশা। কোথাও কর্মী সমর্থকদের উপস্থিতি নেই। কোথাও আবার তা থাকলেও নির্দিষ্ট কর্মসূচি পালন করাই হয়নি। কর্মীরা দল নিয়ে হতাশ। দল কর্মীদের দিকে অভিযোগ তোলে। এই অবস্থার পরও দু’-একটি জায়গায় ভোটে দ্বিতীয় হওয়ার খবর পেয়ে গা ঝাড়া দিয়ে নামতে চাইছে নেতৃত্ব।
এখন সোশ্যাল মিডিয়ার যুগ। ফলে কোথায় কে কী করছে, কোন কর্মসূচি পালিত হচ্ছে একটা ছোট ভিডিওতেই সবটা রাজ্য পার্টি অফিসে এসে পৌঁছয়। হোয়াটসঅ্যাপ করে বা ই-মেল পাঠিয়ে কর্মসূচি পালনের ভিডিও পাঠাতে হবে। এমনকী, বেশি অভিযোগ যেখান থেকে এতদিন এসেছে, সেখান থেকে কর্মসূচি লাইভ স্ট্রিম (Live Stream) করতে হবে।
[আরও পড়ুন: রানাঘাটে রেললাইন আটকে বিক্ষোভ যাত্রীদের, শিয়ালদহ-লালগোলা শাখায় দীর্ঘক্ষণ ব্যাহত পরিষেবা]
রবীন দেব যেমন বলছেন, “জেলায় এই কর্মসূচিগুলো হচ্ছে কি না তার রিপোর্ট পাঠাবে সেখানকার নেতৃত্ব।” সুজন চক্রবর্তীও জানাচ্ছেন এমন ফিডব্যাক পাঠানোর কথা। তাঁর কথায়, “জেলা নেতৃত্বই সবটা আয়োজন করে। কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব বা রাজ্য নেতৃত্ব কোনও কর্মসূচি দিলে জেলা নেতৃত্বই সবটা করতে বলে দেয়। আবার তারাই ফিডব্যাক পাঠাবে।”