সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২২ লাখি গাড়ি নিয়ে বিতর্কের রেশ কাটতে না কাটতেই এবার জন্মদিনের জলঘোলায় বাম নেতা শতরূপ ঘোষ। তৃণমূল যুবনেতা সুদীপ রাহার অভিযোগ, একাধিক জন্ম তারিখ ব্যবহার করেন শতরূপ। সুদীপের দাবি, সোশ্যাল মিডিয়ায় নজর কাড়ার জন্য একটি বিশেষ দিনকে জন্ম তারিখ হিসেবে বেছে নিয়েছেন তিনি। আর তাতেই যাবতীয় গন্ডগোল।
আসলে দু’টি আর্টিক্যাল নিজের ফেসবুক (Facebook) পেজে তুলে ধরেছেন সুদীপ। যেখানে লেখা, এক সোশ্যাল মিডিয়ায় শতরূপ তাঁর জন্মদিন ১৯৮৬ সালের ২২ এপ্রিল বলে উল্লেখ করেছেন। ঘটনাচক্রে, সেদিন লেনিনেরও জন্মদিন। স্বাভাবিক ভাবেই তা কমিউনিস্টদের কাছে অত্যন্ত স্মরণীয় দিন। ফলে নিজের জন্মদিনে বিস্তর শুভেচ্ছাও আদায় করে নিয়েছিলেন শতরূপ। অভিযোগ পত্রে জানানো হয়েছে, ২০১১ সালের ২৭ এপ্রিল ছিল কলকাতায় বিধানসভা ভোট। মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ছিল ৯ এপ্রিল। তাতেই প্রশ্ন উঠছে, যদি শতরূপের জন্মদিন ২২ এপ্রিলই হবে, তা হলে মনোনয়নের সময় ২৫ বছর বয়স না-হওয়ায় নির্বাচন কমিশনেরই তাঁর প্রার্থীপদ খারিজ করে দেওয়ার কথা! তা যখন হয়নি, তার মানে কমিশনকে অন্য তথ্য দেওয়া হয়েছিল। এবং তার মানে, ২২ এপ্রিল তাঁর জন্মদিন নয়। ওই আর্টিক্যালে আরও লেখা, সিপিএমের রাজ্য নেতৃত্ব খোঁজখবর নিয়ে দেখেছেন, শতরূপের জন্মদিন আসলে ২২ মার্চ। সার্টিফিকেটেও তেমনই আছে, কমিশনের কাছে হলফনামাতেও তা-ই।
[আরও পড়ুন: তিলজলার পর মালদহ, ফের সংঘাতে কেন্দ্র ও রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশন]
শতরূপের (Shatarup Ghosh) এই দ্বিচারিতা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন তৃণমূল যুবনেতা। কটাক্ষের সুরে বলছেন, “বার্থ সার্টিফিকেট খুঁজছে? এবার মার্কশিট গুলো খুঁজতে আরম্ভ করো। শুনছি, তোমার একটা ফেলু-রূপও আছে!”
এতে শতরূপের পালটা দাবি, তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee) খোদ জানিয়েছিলেন তাঁর একাধিক জন্ম তারিখ। তাই তৃণমূল প্রতিনিধির মুখে এসব অভিযোগ মানায় না। পাশাপাশি তিনি এও জানিয়ে দেন, স্নাতক স্তরে তিনি যে নির্ধারিত বছরে পরীক্ষায় পাশ করতে পারেননি, সে কথা তিনি আগেও জানিয়েছিলেন। কিন্তু বাম আমলে পরীক্ষায় নম্বর বাড়িয়ে সরকারি চাকরির জন্য কোনও নেতা-মন্ত্রীর কাছে আবেদন করেননি।