রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: বঙ্গ রাজনীতির সিঙ্গুর অধ্যায়ের দ্বিতীয় পর্বে সিঁদুরে মেঘ সিপিএমের ভাগ্যাকাশে! সিঙ্গুর ইস্যুতে বাম নীতি ছেড়ে শাসকদলের পাশে দাঁড়িয়ে গেল সিপিআইএম এল লিবারেশন (CPIM Liberation)। অনেকটা শাসকদলের সুরেই লিবারেশনের সাধারণ সম্পাদক দীপঙ্কর ভট্টাচার্য বলে গেলেন, সিঙ্গুর নিয়ে ট্রাইব্যুনাল যে রায় দিয়েছে সেটা রাজ্যবাসীর প্রতি স্বেচ্ছাচারী, অন্যায়।
দীপঙ্কর ভট্টাচার্যের (Dipankar Bhattacharya) কথায়, “পশ্চিমবঙ্গের জনগণের কাছে এর চেয়ে অযৌক্তিক, স্বেচ্ছাচারী এবং অন্যায় আর কিছু হতে পারে না। একটি বাতিল পরিত্যক্ত প্রজেক্ট এবং ধ্বংসপ্রাপ্ত কৃষি জমির জন্য এখন এই অতিরিক্ত বোঝা বহন করতে হবে রাজ্যবাসীকে! উর্বর বহু ফসলি জমি অধিগ্রহণের বিরুদ্ধে স্থানীয় জনগণের প্রতিরোধের কারণে সিঙ্গুর প্রকল্পটি বাতিল হয়েছিল। স্থানীয় বিরোধিতা অগ্রাহ্য করে কোনও প্রকল্প জনগণের ওপর চাপিয়ে দেওয়া চলে না।”
[আরও পড়ুন: ‘শুধু বিশ্বভারতী নয়, জাতীর জন্যও ক্ষতিকারক’, খোলা চিঠিতে বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে তোপ সুদীপের]
লিবারেশনের সাধারণ সম্পাদকের মতে, সিঙ্গুর (Singur) হল এরকম প্রকল্পগুলির বিরুদ্ধে গড়ে ওঠা জনপ্রিয় প্রতিরোধগুলির একটি উদাহরণ। ওড়িশার নিয়ামগিরি, কলিঙ্গনগর এবং পস্কো থেকে শুরু করে তামিলনাড়ুর তুতিকোরিনের স্টারলাইট পর্যন্ত, জমি অধিগ্রহণ, পরিবেশগত অবক্ষয় বা জোরপূর্বক গণউচ্ছেদের কারণে এই রকম বিরোধিতার অনেক উদাহরণ রয়েছে।
[আরও পড়ুন: দেহ দাহ শুরু হতেই পোড়া বালিশ থেকে বেরল কাঁড়ি কাঁড়ি ৫০০ টাকা! শোরগোল বসিরহাটে]
দীপঙ্কর ভট্টাচার্য বলছেন, “ন্যানো গাড়ির এই মডেলটি নিজেই ত্রুটিপূর্ণ ছিল এবং প্রকল্পটিকে তড়িঘড়ি গুজরাটে স্থানান্তরিত করা হলে সেখানেও শেষ পর্যন্ত তা সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়। কৃষি, কৃষিজমি ও জীবিকার উপর আঘাত নামিয়ে আনা পরিত্যক্ত এক প্রকল্পের জন্য ক্ষতিপূরণ প্রদান আজ রাজ্যবাসীর কাটা ঘায়ে নতুন করে নুন ছিটিয়ে দেওয়া।” তাঁর সাফ কথা, “সালিশি পুরস্কারের নামে এই নির্লজ্জ কর্পোরেট তোষণকে পশ্চিমবঙ্গের জনগণ এবং সরকারের অবশ্যই বিরোধিতা করা প্রয়োজন।”