বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত, নয়াদিল্লি: জোটে থেকেও না থাকার সিদ্ধান্ত সিপিএমের! ইন্ডিয়া জোটে নাম লিখিয়েও জোটসঙ্গীকে এড়িয়ে চলার কৌশল পার্টির! গা বাঁচাতে দু‘রকম অবস্তান সীতারাম ইয়েচুরি-প্রকাশ কারাতদের। বাংলায় তৃণমূলের স্পর্শ এড়াতে ১২ দিন পরেও ইন্ডিয়া জোটের সমন্বয় কমিটির বৈঠকে সিপিএমের তরফে কোনও প্রতিনিধি পাঠানো হল না। পাঠানো হল না বাকি কমিটির সদসদের নামও।
চলতি মাসে পার্টির পলিটব্যুরোর বৈঠকে কমিটিতে যোগ দেওয়া নিয়ে আলোচনার পরেই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হবে বলে এ কে গোপালন ভবন সূত্রে খবর। তবে ইতিমধ্যেই দু’জনের নাম চূড়ান্ত হয়েছে বলে সূত্রের খবর। এক্ষেত্রেও বাম নেতাদের সিদ্ধান্তে হতবাক জোট শরিকরা। এমন দুজনের নাম চূড়ান্ত হয়েছে বলে খবর, যাঁদের পরিচিতি নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। এমনকী, কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকারও তাঁদের নেই।
[আরও পড়ুন: টেমসের মতো গঙ্গার পাড় সাজাবে রাজ্য, জলে নামবে দূষণহীন আধুনিক জলযান]
মুম্বইয়ে ইন্ডিয়া (INDIA) জোটার বৈঠকে ১৪ জনের সমন্বয় কমিটির গঠনের সিদ্ধান্ত হয়। বৈঠকেই ১৩টি দল নাম দিলেও, পরে নাম পাঠিয়ে দেওয়া হবে বলে জানান সিপিএম সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি। সমন্বয় কমিটির প্রথম বৈঠকের আগেই পার্টি প্রতিনিধির নাম পাঠিয়ে দেবে বলেও জানান। তবে সিপিএম বৈঠকে নাম না দিলেও বামফ্রন্টের আরেক শরিক সিপিআইয়ের সাধারণ সম্পাদক ডি রাজা কমিটির সদস্য হন। তখন মনে করা হয় সমন্বয় কমিটির প্রথম বৈঠকের আগেই নাম পাঠাবে সিপিএম। কিন্তু বুধবার শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত অপেক্ষাই সার হলো। কোনও নাম পাঠাল না সিপিএম। লালপার্টির এহেন আচরণে অবাক হন বৈঠকে হাজির বাকি ১২ দলের প্রতিনিধিরা। বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে অনেকেই উষ্মাপ্রকাশ করেন বলে সূত্রের খবর।
[আরও পড়ুন: রাশিয়ায় কিম-পুতিন করমর্দন, ‘আপনাকে দেখে আনন্দিত’, বললেন রুশ প্রেসিডেন্ট]
সিপিএম (CPIM) সূত্রে খবর, জাতীয় স্তরে বিজেপিকে পরাস্ত করতে বিরোধী জোটে থাকলেও তৃণমূলের সঙ্গ এড়িয়ে চলার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। সেক্ষেত্রে জোট এগিয়ে নিয়ে যেতে যে কমিটি গঠন হবে তাতে সতর্কভাবে অংশ নেবে পার্টি। যে কমিটিতে তৃণমূলের প্রতিনিধি থাকবে সেই কমিটিতে সিপিএমের কোনও প্রতিনিধি থাকবে না। একান্তই জোটের স্বার্থে যদি প্রতিনিধি রাখতে হয়, তাহলে পরবর্তী কেন্দ্রীয় কমিটি অথবা পলিটব্যুরোর বৈঠকে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করতে হবে। এছাড়াও এমন প্রতিনিধি দেওয়া হবে যাদের সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার থাকবে না। দিল্লির একেজি ভবনের এমন সিদ্ধান্তকে রাজনৈতিক দ্বিচারিতা হিসাবেই দেখছে ইন্ডিয়া জোটের শরিকরা।