সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর: সিপিএম মহিলা সমিতির বিরুদ্ধে অতিরিক্ত চাঁদা নেওয়ার অভিযোগ। পঞ্চায়েত ভোটের আগে সদস্যপদ সংগ্রহের জন্য সিপিএমের মহিলা সমিতির নতুন সদস্যপদের জন্যে চাঁদা আদায়। ১ টাকার টাকার স্লিপে ১০ টাকা, ২০ টাকা নেওয়ার অভিযোগ। প্রতিবাদ তৃণমূলের। পঞ্চায়েত ভোটের আগে ভয় পেয়েই মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে বলেই পালটা দাবি মহিলা সমিতির।
সিপিএমের ‘সারা ভারত গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতি’কে মজবুত করার লক্ষ্যে সদস্য সংগ্রহ অভিযানে নেমেছে। বাড়ি বাড়ি সদস্য বৃদ্ধির সঙ্গে চলছে সদস্যদের কাছ থেকে চাঁদা আদায়। সঙ্গে সঙ্গে দেওয়া হচ্ছে সদস্যপদ। এই চাঁদা আদায় নিয়েই শুরু হয়েছে বিতর্ক। কাঁকসার বিদবিহার অঞ্চলে মহিলা সমিতির কর্মীদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূল। অভিযোগ, সদস্যপদের ১ টাকার স্লিপ দিয়ে নেওয়া হচ্ছে কোনো পরিবারে ১০ টাকা আবার কোনো পরিবারে ২০টাকা। সাধারণ মানুষকে ভুল বুঝিয়ে সদস্যপদ গ্রহণ করানোর চক্রান্ত করছে সিপিএমের মহিলা সংগঠন এই অভিযোগ তুলে সরব হয়েছে তৃণমূল।
[আরও পড়ুন: ‘২৩ বছরে কখনও শান্তি পাইনি’, স্বামীকে খুনের পর স্বীকারোক্তি স্ত্রীর]
পঞ্চায়েত ভোটের আগে এই বিতর্ককে কেন্দ্র করে বিড়ম্বনার মুখে পড়েছে বামেরা। মঙ্গলবার সন্ধেয় কাঁকসার বিদবিহার গ্রাম পঞ্চায়েতের শিবপুর এলাকার একাধিক বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে স্লিপ দিয়ে চাঁদা সংগ্রহ করছিল সারা ভারত গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতি পশ্চিম বর্ধমান জেলা কমিটির নেতৃত্বরা। এলাকাবাসীর অভিযোগ, তাদেরকে স্লিপ দেওয়া হয় এবং পরিবারের সদস্য পিছু দশ টাকা করে চাওয়া হয়। সেই স্লিপ না দেখে তারা চাঁদা দেয়। পরে তারা জানতে পারে সেই স্লিপে লেখা এক টাকা। তারপরেই বিষয়টি এলাকার তৃণমূল নেতৃত্বের কাছে পৌঁছাতেই প্রতিবাদে সরব হন তাঁরা।
বিদবিহার পঞ্চায়েতের তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য স্বপন সূত্রধর জানান, “জোর করে সদস্যপদ সংগ্রহ করানোর চক্রান্ত করছিল সিপিএমের মহিলা সংগঠনের নেতৃত্বরা। এবং গরিব মানুষের কাছ থেকে টাকা আদায় করছিল। তারা প্রতিবাদ করেছেন। এইভাবে সংগঠন বৃদ্ধি করা যায় না।” অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে মহিলা সমিতির রাজ্য কমিটির সদস্য বন্দনা মণ্ডল জানান, “এত জায়গায় সদস্য সংগ্রহ অভিযান চলছে কোনো জায়গা থেকে অভিযোগ আসেনি। পঞ্চায়েতে দুর্নীতি নিয়ে আমাদের সামনে মুখ খুলছেন মহিলারা। তাতেই ভয় পেয়ে মিথ্যা অভিযোগ করছে তৃণমূল।”