সংবাদ প্রতিদিন ব্যুরো: বছরভর তৃণমূল স্তরে নানা কর্মসূচি হয়ে থাকে। নেতা, কর্মীদের সকলকেই সক্রিয় হিসেবে দেখা যায়। কিন্তু তাতে ভোটবাক্সে খুব একটা প্রতিফলন পড়ে না। এ রাজ্যে ৩৪ বছর ধরে শাসনক্ষমতায় থাকা সিপিএম (CPM) নিষ্প্রভ। কেন্দ্রে দীর্ঘদিন ক্ষমতা সামলানো কংগ্রেস ক্রমশ প্রাসঙ্গিকতা হারাচ্ছে। তবু সংগঠনের কাজ থেমে নেই। এই পরিস্থিতিতে বছরের শেষদিনকে জনসংযোগের বড় হাতিয়ার হিসেবে বেছে নিল সিপিএম ও কংগ্রেস (Congress)। শনিবার দিনভর চিড়িয়াখানা, ভিক্টোরিয়া, ময়দান এলাকায় কৌটো হাতে দলের তহবিল সংগ্রহের নামলেন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী-সহ অনেকে।
ওদিকে কংগ্রেস শামিল ভারত জোড়ো যাত্রায়। ডায়মন্ড হারবারের কলাগাছিয়া থেকে রওনা হওয়া মিছিল চলল আমতলা পর্যন্ত। হাঁটলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী (Adhir Ranjan Chowdhury)।
সারাবছর ধরেই পার্টি ফান্ডে চাঁদা সংগ্রহের কাজ চলে সিপিএমের কার্যালয়গুলিতে। দলের সদস্যরা প্রতি মাসে কিংবা বছরের হিসেবে একটি নির্দিষ্ট অঙ্কের টাকা দিতে হয়। এছাড়াও দলের কাজ চালিয়ে যাওয়ার জন্য বাম মনোভাবাপন্ন মানুষজন সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়ে থাকেন। সর্বহারার দলও কৌটো হাতে পথে নেমে টাকা সংগ্রহ করতে দ্বিধা বোধ করেনি কখনও। এখন, এই পড়ন্ত বেলাতেও সেই কাজে অবিচল তাঁরা।
[আরও পড়ুন: মিড ডে মিলের খিচুড়িতে সাপ! না জেনে খাবার খেয়ে অসুস্থ ২ শিশু, শোরগোল ঘাটালে]
৩১ ডিসেম্বর, শনিবার সকাল থেকেই কলকাতার বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানগুলিতে জনতার ভিড়। আর সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে টাকা সংগ্রহের কাজে নেমে পড়লেন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী (Sujan Chakroborty) ও অন্যান্য নেতারা। ময়দান, ভিক্টোরিয়া, চিড়িয়াখানার সামনে লাল শালু পেতে চাঁদা তোলার কাজ করলেন তাঁরা। কত টাকা উঠল, তা এখনও জানা নেই। তবে এভাবে রাস্তায় নেমে চাঁদা সংগ্রহ যে খুব একটা হতাশ করবে না, সে বিষয় নিশ্চিত।
[আরও পড়ুন: মাতৃহারা প্রধানমন্ত্রী, শোকার্ত মোদির পাশে রূপালি পর্দার তারকারা]
অন্যদিকে, কংগ্রেসের নতুন কর্মসূচি চলছে ভারত জোড়ো (Bharat Jodo Yatra) যাত্রা। দিনচারেক আগে তা বাংলায় শুরু হয়েছে। শনিবার ডায়মন্ড হারবারের কলাগাছিয়া কেন্দ্র থেকে সেই যাত্রা শুরু করলেন অধীররঞ্জন চৌধুরী। দস্তিপুর, শিরাকোল, আমতলা পর্যন্ত আসে মিছিল। হাঁটেন বর্ষীয়ান প্রাক্তন সাংসদ মনোরঞ্জন হালদার, প্রদেশ কংগ্রেসের মিডিয়া সেলের প্রধান সৌম্য আইচ-সহ অন্যান্য নেতা, কর্মীরা।