shono
Advertisement

পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে বিধায়ক হিসাবে চান? বেহালায় ‘গণভোট’সিপিএমের, কটাক্ষ তৃণমূলের

৪৬১ জন ভোটদাতার মধ্যে ৪৩১ জনই পার্থর বিপক্ষে।
Posted: 01:32 PM May 01, 2023Updated: 01:32 PM May 01, 2023

স্টাফ রিপোর্টার: প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ‌্যায়ের (Partha Chatterjee) বিধানসভায় গণভোটের ‘নাটক’ করল সিপিএমের যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআই। ভোট দিলেন সব মিলিয়ে ৪৬১ জন। আর এমনদিনে এই ভোট হল, যা ৩০ এপ্রিল অর্থাৎ বিজন সেতুতে গণহত‌্যার বর্ষপূর্তি। পার্থ চট্টোপাধ‌্যায় যেখান থেকে ভোটে জিতেছিলেন সেই বেহালা পশ্চিমের থেকে এই সেতুর দূরত্বও খুব বেশি নয়।

Advertisement

রবিবার এই গণভোটের পর সিপিএম যুব সংগঠনের দাবি, ৪৬১টির মধ্যে ৫ টি ভোট বাতিল হয়েছে। ৪৩১ জন গোপন ব্যালট বাক্সে ভোট দিয়ে বলেছেন, পার্থ চট্টোপাধ্যায় বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিন। ৩০ জন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর পক্ষে ভোট দিয়েছেন। এই প্রশ্নে কটাক্ষ করে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, ‘‘গণভোট ডিওয়াইএফআই-এর নির্লজ্জ নাটক। এই ৩০ এপ্রিলই বিজন সেতুতে জীবন্ত হত‌্যা হয়েছিল। কিন্তু একজনকেও গ্রেপ্তার করেনি। তারা সাধু সাজছেন। বেহালা পশ্চিমের লোক মমতা বন্দ্যোপাধ‌্যায়কেই চাইবেন।’’

[আরও পড়ুন: অভাবের তাড়না নাকি অন্য কোনও কারণ? পুত্রসন্তানকে নদীতে ছুঁড়ে ফেলে আত্মহত্যার চেষ্টা মায়ের]

পার্থ এখন জেলবন্দি। গত বিধানসভায় তাঁর বিরুদ্ধে প্রার্থী হয়েছিলেন সিপিএমের কৌস্তুভ চট্টোপাধ‌্যায়। তিনি দাবি করেন, এলাকার অনেক তৃণমূলের সমর্থকও ভোট দিয়েছেন। জনমত সমীক্ষা নাম দিয়ে ভোটকেন্দ্র করা হয়েছিল। ‘আপনি কি পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে বিধায়ক হিসাবে চান? ‘হ্যাঁ’ নাকি ‘না’, এটা ছিল ব্যালট পেপারে লেখা। একটা ব্যালট বাক্স ছিল। লাইন দিয়ে ভোট দেয় এলাকার মানুষ। মোট ভ্যালিড ভোটের সাড়ে ৬ শতাংশ পেয়েছেন নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে জেলবন্দি প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী। ৯৩ শতাংশ ভোট তাঁর বিপক্ষে পড়েছে। বড়িশা এলাকায় একটি ব্যালট বাক্স রাখা হয়েছিল। গোপন জায়গায় ভোট দেওয়ার ব্যবস্থা হয়।

ডিওয়াইএফআইয়ের তরফে দাবি, নিরপেক্ষভাবেই ভোটদানের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। নিরপেক্ষ ব্যক্তিদেরই প্রিসাইডিং অফিসার করা হয়েছিল। ডিওয়াইএফআইয়ের রাজ্য সভাপতি ধ্রুবজ্যোতি সাহার বক্তব্য, ‘‘নিয়োগ দুর্নীতিতে মানুষ যে শাসকদলের বিপক্ষে এই ভোটের ফলাফলই তার প্রমাণ।’’ কিন্তু একটা গোটা বিধানসভায় মাত্র ৪৬১ জন কেন ভোট দিলেন, সে বিষয়ে কেউ স্পষ্ট উত্তর দেননি। সিপিএম নেতৃত্বের বক্তব্য, বেহালা পশ্চিম কেন্দ্রের মানুষ পরিষেবা পাচ্ছেন না। বিধায়ক জেলে। তাই পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে ইস্তফা দিতে হবে বিধায়ক পদ থেকে। এই দাবিতে এর আগে বেহালা পশ্চিমে সই সংগ্রহ থেকে শুরু করে একাধিক কর্মসূচি নিয়েছিল জেলা সিপিএম। অন‌্যদিকে তৃণমূলের বক্তব‌্য, পরিষেবা নিয়ে মানুষের কোনও অভিযোগ নেই।

[আরও পড়ুন: কালিয়াগঞ্জে পুলিশের ‘গুলি’তে রাজবংশী যুবকের মৃত্যুর ঘটনার তদন্তভার নিল সিআইডি]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement