বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত ও দীপঙ্কর মণ্ডল: কেন্দ্রীয় শ্রমিক ও কৃষক ইউনিয়ন সমূহের ডাকে দেশজুড়ে ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছে। ধর্মঘটকে সমর্থন জানিয়েছে রাজ্যের বাম-কংগ্রেস জোট। সেই ধর্মঘটের সমর্থনে সোমবার কলকাতায় হল মহামিছিল।
এদিন মিছিলটি ধর্মতলার লেনিন মূর্তি থেকে শুরু হয়ে মল্লিকবাজারে গিয়ে শেষ হয়। অংশ নেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু, সিপিএম রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র-সহ বাম নেতৃত্ব। মিছিলের শুরুতেই ফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু জানান, ২৬ তারিখের ধর্মঘটে দেশের অধিকাংশ শ্রমিক, কৃষক ও কর্মচারি ইউনিয়ন সমর্থন জানালেও বিজেপি ও তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন অংশ নেয়নি। কেন্দ্রের নয়া শ্রমিক ও কৃষি আইনের বিরুদ্ধে এই ধর্মঘট। ওইদিন রাজ্য সরকারের ভূমিকা আরও একবার প্রমাণ করবে তৃণমূল ও বিজেপি তলায়-তলায় আঁতাঁত করে আছে। ধর্মঘট ভাঙতে এলে বামপন্থীদের সঙ্গে লড়াই হবে বলে হুমকি দেন অশীতিপর এই বাম নেতা।
[আরও পড়ুন: ‘ভোট কাটোয়া’ ওয়েইসিতে অনাস্থা, বিজেপিকে রুখতে তৃণমূলে যোগদান মিম সদস্যদের]
এদিকে ২৬ নভেম্বরের ধর্মঘট সমর্থন করল রাজ্যের শিক্ষামহলের একটি অংশ। শ্রম ও কৃষি আইন বাতিল-সহ কয়েকদফা দাবিতে কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়ন এবং জাতীয় ফেডারেশনগুলি আগামী ২৬ নভেম্বর সারা ভারত সাধারণ ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে। সোমবার প্রসার ভারতীর প্রাক্তন সিইও জহর সরকার, শিক্ষক নেতা বিশ্বজিৎ মিত্র, মানবাধিকার কর্মী সুজাত ভদ্র, অধ্যাপক তরুণকান্তি নস্কর-সহ শিক্ষা মহলের একটি বড় অংশ বিবৃতি দিয়েছে, “কেন্দ্রীয় সরকার সংসদে আলোচনা না করে, একতরফা ভাবে জাতীয় শিক্ষানীতি দেশের মানুষের উপর চাপিয়ে দিয়েছে। স্বাধীনতার পর থেকে সর্বস্তরের মানুষের নিরলস প্রচেষ্টা ও শ্রমের বিনিময়ে যে প্রাকৃতিক সম্পদ সৃষ্টি হয়েছিল এবং তার ফলে যে রাষ্ট্রায়ত্ব শিল্পসংস্থাগুলি গড়ে উঠেছিল কেন্দ্রীয় সরকার এক কথায় দেশের ধনকুবের গোষ্ঠীর হাতে তুলে দিয়েছে। এই পরিপ্রেক্ষিতে সারা ভারত সেভ এডুকেশন কমিটির ডাকে আমরা আগামী ২৬ নভেম্বর সাধারণ ধর্মঘটকে সমর্থন করার জন্য সর্বস্তরের মানুষকে আহ্বান জানাচ্ছি।”