সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একেই রবিবার বামেদের ভরা ব্রিগেডে প্রকাশ্যে এসে গিয়েছে জোট শরিকদের মধ্যে মতানৈক্য। আসন ছাড়া নিয়ে কংগ্রেস ও আব্বাস সিদ্দিকির দড়ি টানাটানি এতদিন ছিল চার দেওয়ালের মাঝে। কিন্তু সংযুক্ত মোর্চার মঞ্চে ‘ভাইজান’ই তা প্রকাশ্যে নিয়ে আসেন। তাতেই বাড়ে বামেদের অস্বস্তি। আর এই সুযোগকে হাতিয়ার করেই জোট নিয়ে তীব্র আক্রমণ শানালেন বিরোধীরা। রবিবারের ব্রিগেড নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) বলে দেন, বাংলাকে গ্রেটার বাংলাদেশ বানানোর চক্রান্ত করছে বাম-কংগ্রেস-আইএসএফ জোট।
বিজেপি রাজ্য সভাপতির কথায়, ব্রিগেডের মঞ্চেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে যে পশ্চিমবঙ্গকে গ্রেটার বাংলাদেশ বানাতে চাইছে জোট। তাঁর এমন রাজনৈতিক অভিযোগের পালটা দিয়েছেন সিপিএম বিধায়ক সুজন চক্রবর্তীও। বলে দেন, ইতিহাস বিকৃত করছেন দিলীপ ঘোষ। অতীত ঘাঁটলেই স্পষ্ট হয়ে যাবে কারা ধর্মের নামে বাংলাকে ভাগ করার চেষ্টা করেছে। সুজনের দাবি, আসলে সংযুক্ত মোর্চাকে ভয় পাচ্ছে বিজেপি (BJP)। সেই কারণেই এমন মন্তব্য দিলীপের।
[আরও পড়ুন: পামেলার গাড়ি থেকে রাকেশ ঘনিষ্ঠকে পালাতে সাহায্য! কোকেন কাণ্ডে পুলিশের জালে আরও ১]
বিধানসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। আর ভোট প্রচারের ক্ষেত্রে বিজেপি ধর্মের তাস খেলছে বলে আগেই সরব হয়েছে বাম-কংগ্রেস ও তৃণমূল। ব্রিগেডর পর সেই ইস্যুতেই তিনদলকে একযোগে আক্রমণ করেন বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য। তাঁর অভিযোগ, “আব্বাসের সাম্প্রদায়িক রাজনীতির কাছে মাথা নত করেছেন বাম এবং কংগ্রেস নেতারা। আর তাদের ইন্ধন দিচ্ছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলও।” শমীকের প্রশ্ন, “বিজেপির রাজনীতিকে সাম্প্রদায়িক রাজনীতি বলেন এঁরা। তাহলে আব্বাসের রাজনীতিটা কী?” এবার বামেদের ‘আব্বাস প্রীতি’ নিয়ে সুর চড়ালেন দিলীপ ঘোষও।
এদিকে, জোটের জট কাটাতে দ্রুত আসন রফা করতে উদ্যোগী বাম-কংগ্রেস। ব্রিগেডের ঘটনার পরই কংগ্রেস হাইকমান্ড থেকে দ্রুত সমস্যা মেটানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাই আজই আলিমুদ্দিনে বৈঠকে বসতে চলেছেন দুই শরিক দলের নেতারা। বৈঠকে উপস্থিত থাকার কথা বিমান বসু, মহম্মদ সেলিম, অধীর চৌধুরী-সহ অন্যান্য নেতাদের। গতকাল যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল, তা মিটিয়ে নিয়ে আসন রফার পথে হাঁটবেন তাঁরা। তবে অধীর ইতিমধ্যেই সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, মালদহ ও মুর্শিদাবাদে কোনও আসন ছাড়বে না কংগ্রেস। ফলে সিদ্দিকির ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের (ISF) সঙ্গে কংগ্রেসের সমীকরণ কী দাঁড়ায়, সেটাই এখন লাখ টাকার সওয়াল।