ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: আর জি কর আন্দোলনের নেপথ্যে বারবার বাম যোগের তত্ত্ব উঠে এসেছে। অনেকেরই দাবি, জুনিয়র ডাক্তারদের মাথায় হাত রয়েছে লালশিবিরের। এই পরিস্থিতিতে আরও একবার নিজেদের শক্তি পরীক্ষা করার সিদ্ধান্ত নিল বামেরা। সূত্রের খবর, উপ নির্বাচনে 'একলা চলো রে' নীতিতেই এগোতে চাইছে তাঁরা। একইভাবে কংগ্রেসও জোটে আগ্রহী নয় বলেই খবর।
আগামী ১৩ নভেম্বর রাজ্যের ৬ আসনে উপনির্বাচন। ইতিমধ্যেই প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে তৃণমূল ও বিজেপি। জানা গিয়েছে, রবিবার প্রার্থী তালিকা নিয়ে বৈঠক হয়েছে আলিমুদ্দিনে। সেখানেই শরিক দলগুলোকে কটি আসন ছাড়া হবে, কাদের প্রার্থী করা হবে, তা নিয়ে মোটের উপর চূড়ান্ত সিদ্ধান্তও হয়ে গিয়েছে। সম্ভবত, আগামিকাল প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করবে বামেরা। তবে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণভাবে এদিনের বৈঠকে একবারও ওঠেনি কংগ্রেসের নাম অর্থাৎ জোট প্রসঙ্গ। মনে করা হচ্ছে, আর জি কর আন্দোলন আদৌ বামেদের হারানো মাটি পুনরুউদ্ধারের দিকে এগিয়ে দিতে পারছে কি না, ২৬ এর নির্বাচনের আগে তা একবার পরখ করে দেখতে চাইছে আলিমুদ্দিন। সেই কারণেই একা চলার সিদ্ধান্ত।
এদিকে অধীররঞ্জন চৌধুরী ছাড়া বাংলার কোনও কংগ্রেস নেতাই যে বামেদের সঙ্গে জোটে বিশেষ আগ্রহী নয়, তা বলাই বাহুল্য। বর্তমানে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি পদে শুভঙ্কর সরকার। ফলত জোট কী হবে তা নিয়ে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল। এই পরিস্থিতিতে রবিবার প্রার্থী বাছতে বৈঠকে বসে কংগ্রেস নেতৃত্বও। জানা যাচ্ছে, প্রার্থীদের তালিকা তৈরি করে দিল্লিতে তা পাঠানো হয়েছে। কংগ্রেসও চাইছে একাই লড়তে। এ বিষয়ে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি শুভঙ্কর সরকার জানান, স্থানীয় নেতৃত্বের সিদ্ধান্তকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। তাঁরা চাইছে একা লড়তে। তবে কি ২৬ এর বিধানসভাতেও একাই লড়বে বাম ও হাত শিবির? জল্পনা রাজনৈতিক মহলে।