সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর: বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে শ্যালিকার সঙ্গে একাধিকবার সহবাস। বাড়ি মেরামতির নামে সোনা ও টাকা হাতানোর অভিযোগ। কাঠগড়ায় দুর্গাপুরের(Durgapur) এক সিপিএম নেতা। প্রবল অস্বস্তি দলের অন্দরে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দুর্গাপুরের কোকওভেন থানার সগড়ভাঙা মুসলিম পাড়ার বাসিন্দা অভিযুক্ত মতলব আলি। বর্তমানে দুর্গাপুর পূর্ব ২-এর সিপিএম এরিয়া কমিটি এবং কৃষকসভার জেলা সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য। যে এলাকায় তিনি থাকেন সেখানেই বিয়ে হয় তাঁর। শ্যালিকার বিয়ে হয়েছিল বীরভূমের দুবরাজপুরে। তাঁর স্বামী মারা যান ২০১৫ সালে। অভিযোগ, তার পর থেকেই মতলব শ্যালিকার সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়াতে শুরু করেন। বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বেশ কয়েকবার সহবাসও করেন ওই সিপিএম নেতা। সগড়ভাঙা এলাকায় নিজের বাড়ি মেরামতির জন্য শ্যালিকার থেকে ৮ ভরি সোনার অলঙ্কার নেন। এসবের পর সাত বছর পেরিয়ে গেলেও শ্যালিকাকে বিয়ে করেননি তিনি। ফেরত দেননি সোনাও। কয়েকদিন ধরেই সেই সোনার গয়না ফেরত চাইছিলেন মহিলা। রবিবার সোনার অলঙ্কার ফেরত দেওয়ার নামে শ্যালিকাকে দুর্গাপুরে ডাকেন মতলব আলি। সেখানে আবার মহিলার হাত ধরে টানা-হেঁচড়া করা হয়।
[আরও পড়ুন: ‘আমরা সবাই একসঙ্গে থাকতে চাই’, বাংলা ভাগ ইস্যুতে বিধানসভায় স্লোগান বাঁধলেন মুখ্যমন্ত্রী]
এর পরই দুর্গাপুরের কোকওভেন থানায় মতলবের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ওই মহিলা। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে রবিবার রাতেই বাড়ি থেকে মতলবকে গ্রেপ্তার করে কোকওভেন থানার পুলিশ। সোমবার ধৃতকে পুলিশি হেফাজতে চেয়ে তোলা হয় দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে। এই বিষয়ে সিপিএমের দুর্গাপুর পূর্ব ২ এরিয়া কমিটির সম্পাদক সিদ্ধার্থ বোস জানান, "পারিবারিক ঘটনা। রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছে। ওকে ফাঁসানো হয়েছে। পার্টিগতভাবে আইনি পরামর্শ নিয়ে আমরা এগোব।" তৃণমূলের জেলার সহ-সভাপতি উত্তম মুখোপাধ্যায় জানান, "ওই দলটা শেষ হয়ে গেছে বহু আগেই। যে কয়েকজন রয়েছে তাঁরা সব কীর্তিমান নায়ক। মানুষের কাছে ঘৃণ্য।"