বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত: লোকসভা ও বিধানসভায় দলত্যাগীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া নিয়ে তৃণমূলের (TMC) পাশে দাঁড়াল সিপিএম (CPM)। লোকসভায় দলত্যাগীদের সদস্যপদ খারিজের দাবি তুলে একাধিকবার স্পিকার চিঠি দেওয়ার যে পদক্ষেপ নিয়েছে তৃণমূল, তা সম্পূর্ণ ন্যায়সঙ্গত বলেই মনে করেন প্রাক্তন বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী। তবে বিধানসভায় শাসকদল একই পদক্ষেপ নেবে কিনা, তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন তিনি। গত বিধানসভায় এক দলত্যাগী বিধায়কের বিরুদ্ধে স্পিকার ও মুখ্যমন্ত্রীকে অভিযোগ জানানো হয়। ২৩ বার শুনানি হলেও কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি বলে দাবি সুজন চক্রবর্তীর (Sujan Chakraborty)।
দলত্যাগী সাংসদদের সদস্যপদ খারিজের দাবি করে লোকসভার (Lok Sabha) স্পিকার ওম বিড়লাকে চিঠি দিয়েছে তৃণমূল সংসদীয় দল। পালটা বিধানসভায় দলত্যাগী বিধায়কের পদত্যাগ দাবি করেছে বিজেপি (BJP)। উভয় দলের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে আলিমুদ্দিন। দলত্যাগ বিরোধী আইন কার্যকর করে এঁদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি করেন সুজন। তবে আইন কার্যকর করা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহের অবকাশ রয়েছে বলে মনে করেন তিনি।
[আরও পড়ুন: হাসপাতালে ভরতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মা, হাজার ব্যস্ততা সামলে মায়ের পাশেই ছেলে]
গত বিধানসভায় বিরোধী বাম ও কংগ্রেসের একাধিক বিধায়ক শাসকদল ও বিজেপিতে (BJP) যোগ দেয়। বিষয়টি নিয়ে তৎকালীন বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নান ও বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী বারবার অধ্যক্ষের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে চিঠি দিয়ে দলত্যাগী বিধায়কদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানানো হলেও কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। তাঁর অভিযোগ, আসলে রাজ্যে তৃণমূল ও কেন্দ্রে বিজেপি একই দোষে দুষ্ট। দুই শাসকদলের এমন মনোভাব ‘সংবিধান ধ্বংসকারী’ বলে অভিযোগ সুজনের। সেইসঙ্গে করোনা মোকাবিলায় গণপরিবহণ বন্ধ রেখে সব খুলে দেওয়ার কড়া সমালোচনাও করেছেন তিনি।
[আরও পড়ুন: নারদ কাণ্ডে নেতাদের গ্রেপ্তারিতে CBI দপ্তরে মুখ্যমন্ত্রী, কড়া চিঠি ক্ষুব্ধ রাজ্যপালের]
এদিকে, সাঁইবাড়ি হত্যাকাণ্ড ইস্যুতে সিপিএম-কংগ্রেসের মধ্যে তৈরি হওয়া মনোমালিন্য আরও বাড়ছে। বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য, মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়ের সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট ঘিরে কড়া অবস্থান নিয়েছে আলিমুদ্দিন। যদিও বিতর্ক শুরু হতেই দলের যুবনেত্রী মীনাক্ষী নিজের পোস্টটি মুছে দেন। এ নিয়ে কংগ্রেসের সঙ্গেও দূরত্ব বাড়ছে। সূত্রের খবর, এ নিয়ে ক্ষিপ্ত কংগ্রেসের একাংশ এবার সিপিএমের সঙ্গ ছাড়তে চায়। ফলে সংযুক্ত মোর্চা জোট ভেঙে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল।