বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত: ভোটের আগে বরাবরই অন্যমেজাজে দেখা গিয়েছে অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mandal)। কখনও চড়াম-চড়াম, কখনও আবার গুড়-বাতাসার কথা শোনা গিয়েছে তাঁরই মুখে। সামনেই পঞ্চায়ত ভোট। কিন্তু সেই অনুব্রত এখন তিহাড় জেলে বন্দি। এবার অনুব্রতর কাছে গুড়-বাতাসা পৌঁছে দিতে তিহাড় জেলের সামনে সিপিএম। ব্যাপারটা কী?
বৃহস্পতিবার সকালে তিহাড় জেলের সামনে হাজির হন সিপিএমের শ্রমিক সংগঠনের ৬ জন। তারা কলকাতা কর্পোরেশনের কর্মী। অজিত দাস, সঞ্জয় ঘোষাল, বিজয় দত্ত, নারায়ণ দলুই, মহম্মদ সেলিম এবং কালাচাঁদ দাস নামে এই ৬ জনের হাতেই ছিল গুড়-বাতাসা। কিন্তু হঠাৎ কেন তিহাড় জেলের সামনে তাঁরা? জানা গিয়েছে, এদিন কলকাতা কর্পোরেশনের ওই কর্মীরা তিহাড় জেলের সিপাইদের জানান, তাঁরা সঙ্গে আনা গুড়-বাতাসা অনুব্রতকে দিতে চান। অর্থাৎ কেষ্টকে তথা গোটা তৃণমূলকে খোঁচা দিতেই এই পরিকল্পনা। কিন্তু লক্ষ্য পূরণ হল না। নিরাপত্তারক্ষীরা জানিয়েদেন, এভাবে জেলেবন্দি কাউকে কিছু দেওয়া সম্ভব নয়। তাছাড়া আদালতের নির্দেশ রয়েছে, অনুব্রতকে বাইরের খাবার দেওয়া পুরোপুরি নিষিদ্ধ।
[আরও পড়ুন: গান্ধীর পরিচয় ও উত্তরাধিকার চিরদিনই RSS-BJP’র অস্বস্তির কারণ, তোপ মহাত্মার প্রপৌত্রের]
অজিত দাসদের কথায়, “অনুব্রতর মুখে গুড়-বাতাসার কথা আমরা সবাই শুনেছি। কিন্তু উনি এখন জেলে বন্দি। আমরা চাই উনি সুস্থ থাকুন। নিজের চোখে দেখুন তৃণমূল কীভাবে শেষ হচ্ছে। তাই গুড়-বাতাসা দিতে এসেছি।” কিন্তু মনবাসনা পূর্ণ না করেই ফিরতে হল তাঁদের। প্রসঙ্গত, বুধবার দিল্লির রামলীলা ময়দানে বাম শ্রমিক, কৃষক, খেতমজুর সংগঠনের সমাবেশ ছিল। বাংলার বহু সিপিএম কর্মী গিয়েছিলেন সেখানে। তাঁদের মধ্যেই ছিলেন অজিত দাসেরা।