সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দল মূল্যবোধ হারিয়েছে। আজকের কংগ্রেস যেভাবে ভাবছে, সেই ভাবনার সঙ্গে আমার ভাবনা মিলছে না। দলের সর্বভারতীয় সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গেকে (Mallikarjun Kharge) চিঠি লিখে দল ছাড়লেন স্বাধীনতা সংগ্রামী তথা স্বাধীন ভারতের প্রথম গভর্নর জেনারেল চক্রবর্তী রাজা গোপালাচারীর নাতি সিআর কেশবন।
২০০১ সালে কংগ্রেসে যোগ দেন কেশবন। যুব কংগ্রেসের গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন। রাজীব গান্ধী ফাউন্ডেশনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তামিলনাড়ু (Tamil Nadu) প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির ফাউন্ডেশনের সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন দীর্ঘদিন। তাঁর দাবি, বিদেশ থেকে তিনি ভারতে এসেছিলেন দেশসেবার উদ্দেশ্যেই। কিন্তু ২২ বছর কংগ্রেসের (Congress) সঙ্গে যুক্ত থাকার পর দলের নীতিপঙ্গুত্ব মেনে নিতে না পেরে দল ছাড়লেন তিনি।
[আরও পড়ুন: শুঁড়ে পেঁচিয়ে আছড়ে মারল হাতি, পরীক্ষা দিতে যাওয়ার সময় মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর মর্মান্তিক মৃত্যু]
কেশবন অবশ্য বেশ কিছুদিন আগে থেকেই কংগ্রেসের সব কর্মসূচি থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে নিয়েছিলেন। এমনকী রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) ভারত জোড়ো যাত্রাতেও অংশ নেননি। এদিন দলের সর্বভারতীয় সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে এবং তামিলনাড়ু প্রদেশ কংগ্রেস দপ্তরে চিঠি দিয়ে নিজের ইস্তফার কথা জানিয়েছেন তিনি। চিঠিতে কেশবন বলেন, “দুর্ভাগ্যজনকভাবে কংগ্রেসের কাজের ধরন না গঠনমূলক আর না সুপরিকল্পিত। আমি যে মূল্যবোধের জন্য কংগ্রেস করতাম, সেটা বদলে গিয়েছে।”
[আরও পড়ুন: লাগে টাকা দেবে চিন, দেউলিয়া পাকিস্তানের ‘গৌরী সেন’ জিনপিং!]
কেশবনের এই ইস্তফা নিঃসন্দেহে তামিলনাড়ু প্রদেশ কংগ্রেসের জন্য ধাক্কা। কদিন আগেই সেরাজ্যে ভারত জোড়ো যাত্রায় ব্যাপক সাড়া পেয়েছিলেন রাহুল গান্ধী। তারপরই গুরুত্বপূর্ণ এই নেতার দলত্যাগ। আর এই প্রথম নয়, কদিন আগে কংগ্রেস ছেড়েছেন আরেক বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা এ কে অ্যান্টনির ছেলে। পরপর তরুণ প্রজন্মের নেতারা যেভাবে দল ছাড়ছেন, সেটা কংগ্রেস নেতৃত্বের জন্য যথেষ্ট উদ্বেগের। যদিও কেশবন (CR Keshavan) অন্য কোনও দলে যোগ দেওয়ার ব্যাপারে এখনও মনস্থির করেননি।