সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর: দুর্গাপুর ব্যারেজের (Durgapur Barrage) লকগেট ভেঙে যাওয়ায় এবার রাজ্য সরকারের ব্যর্থতাকেই দায়ী করলেন বাঁকুড়ার বিজেপি সাংসদ সুভাষ সরকার। শনিবার দুর্গাপুর ব্যারেজ দিয়ে কলকাতা যাওয়ার পথে ঠিক এই প্রতিক্রিয়া দিলেন সুভাষবাবু। বাঁকুড়ার সাংসদের প্রশ্ন, কেন বছর তিনেক আগে এক নম্বর লকগেট ভাঙার পরও সেই অর্থে কোনো উদ্যোগ সরকারি স্তরে নেওয়া হল না।
শনিবার সকাল দুর্গাপুর ব্যারেজের ৩১ নম্বর লকগেট ভেঙে বিপত্তি বাঁধে। দামোদরের বুকে মাছ ধরতে গিয়ে মৎস্যজীবীরা দেখতে পান বাঁকুড়ার বড়জোড়ার দিক থেকে দুর্গাপুরের দিকে আসতে ৩১ নম্বর লকগেট দিয়ে হুড়হুড় করে জল বেরিয়ে যাচ্ছে। এরপর তাঁরা কাছে গিয়ে দেখেন লকগেটের একটি অংশ ভেঙে সেখান থেকে জল বেরিয়ে যাচ্ছে। তাঁরাই খবর দেন সেচ দপ্তরের কর্মীদের। খবর পেয়ে দুর্গাপুর নগর নিগমের মহানাগরিক দিলীপ অগস্তি, দুর্গাপুর পশ্চিমের বিধায়ক বিশ্বনাথ পারিয়াল, নগর নিগমের চার নম্বর বোরো চেয়ারম্যান চন্দ্রশেখর বন্দ্যোপাধ্যায় ছুটে আসেন। ঘুরে দেখেন এলাকা। কিন্তু অদ্ভুতভাবে এত বড় দুর্ঘটনা ঘটে গেলেও সেচ দপ্তরের কর্মী বা আধিকারিকদের দেখা মেলেনি বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন।
[আরও পড়ুন: করোনা কাঁটায় বালুরঘাটের বোল্লা কালীপুজো নিয়ে অনিশ্চয়তা, গাইডলাইনের অপেক্ষায় উদ্যোক্তারা]
দুর্গাপুর পশ্চিমের বিধায়ক বিশ্বনাথ পারিয়াল রাজ্য সরকারের ব্যর্থতার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “আগের ঘটনা ঘটার পর ধাপে ধাপে লকগেট মেরামতির কাজ শুরু হয়ে গিয়েছিল। যেখানে এই ৩১ নম্বর গেটও ছিল। আচমকাই শনিবার এই দুর্ঘটনা ঘটে যায়। অযথা রাজনীতি করে লাভ নেই।” দুর্গাপুরের মহানাগরিক দিলীপ অগস্তি জানান, “সেচ দপ্তরের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের সব জানানো হয়েছে।” শহরে যাতে পানীয় জলের সংকট না হয় তা মোকাবিলা পুরসভা প্রস্তুত বলেও জানান মহানাগরিক। দুর্গাপুর নগর নিগমের চার নম্বর বোরো চেয়ারম্যান চন্দ্রশেখর বন্দ্যোপাধ্যায় জানান,”শহর জুড়ে মাইকিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে যাতে সাধারণ মানুষ অযথা জল অপচয় বন্ধ করেন।”