সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এবার আরব আমিরশাহীর কাছেও হারতে হল বাংলাদেশকে। পদ্মাপাড়ের দেশকে প্রথমবার আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে পরাস্ত করে ইতিহাস গড়েছে আমিরশাহী। এই জয়ের পর আরব থেকে সিরিজ ১-১ ড্র করে ফিরতে হচ্ছে লিটন দাসদের।
প্রথমে ব্যাট করে আমিরশাহীর সামনে ২০৬ রানের লক্ষ্য রাখে বাংলাদেশ। তানজিদ হাসান ও লিটন দাস অসাধারণ শুরু করে স্কোরবোর্ডে ৯০ রান তুলে দেন। ব্যক্তিগত ৫৯ রানে ফেরেন তানজিদ। লিটন আউট হন ৪০ রানে। তৌহিদ হৃদয় করেন ৪৫। জবাবে তুরীয় মেজাজে শুরু করেন আমিরশাহী ওপেনাররা। প্রথম ১০ ওভারেই ১০৭ রান তুলে নেন জোহাইব খান এবং মহম্মদ ওয়াসিমের জুটি। জোহাইব (৩৮) আউট হলেও লক্ষ্যে অবিচল থাকেন ওয়াসিম। ৪২ বলে ৮২ রানের অনবদ্য ইনিংস উপহার দেন তিনি। যদিও খেলার নিষ্পত্তি হয় একেবারে শেষ ওভারে। রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে শেষমেশ জয়লাভ করে আরব আমিরশাহী।
ম্যাচ জেতানো ইনিংস খেলে ওয়াসিম বলেন, "এই আনন্দ ভাষায় ব্যাখা করা যাবে না। দলের পারফরম্যান্সে খুশি। বিশ্বাস ছিল, এই রান তাড়া করতে পারব। কারণ আমরা পরিস্থিতিটা জানি।" অন্যদিকে, বাংলাদেশ অধিনায়ক লিটন দাস বলেন, "উইকেট ভালো ছিল। ভালো ব্যাটিংও করেছি। কিন্তু পরে ব্যাট করায় আমিরশাহী সুবিধা পেয়েছে। তবুও আমরা চেষ্টা করেছি।" অর্থাৎ, ম্যাচ হেরে শিশিরকে দায়ী করেছেন তিনি।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলাদেশের এই হারের জন্য দায়ী তাদের 'পাকামি'। গত ম্যাচে ৫৪ বলে ১০০ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেছিলেন পারভেজ হোসেন ইমন। যদিও দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে তাঁকে ছাড়াই নামে বাংলাদেশ। হয়তো হালকাভাবে নেওয়ার কারণে ফল ভুগতে হয়েছে তাদের। তাছাড়াও মুস্তাফিজুর রহমানও আইপিএল খেলতে ভারত উড়ে গিয়েছেন। সব মিলিয়ে পাকিস্তান সফরের আগে বড়সড় ধাক্কা খেল বাংলাদেশ।
