ভারত: ১৮৫, ১৫৭ (পন্থ ৬১, যশস্বী ২২)
অস্ট্রেলিয়া: ১৮১, ১৬২-৪ (খোয়াজা ৪১, ওয়েবস্টার ৩৯)
অস্ট্রেলিয়া ৬ উইকেটে জয়ী।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অধিনায়ক বদলেও ভাগ্য বদল হল না। সিডনি টেস্টে খানিকটা লড়াই। কিন্তু দিনশেষে ফলাফল বদলাতে পারল না টিম ইন্ডিয়া। ফের হার। দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুর দিকে খানিকটা ধাক্কা খেলেও শেষ পর্যন্ত ৬ উইকেটে একপ্রকার অনায়াসেই পিঙ্ক টেস্ট জিতল অস্ট্রেলিয়া। সেই সঙ্গে ১০ বছর পর বর্ডার-গাভাসকর ট্রফি ফিরল অজিভুমে। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে খেলাও নিশ্চিত করে ফেললেন প্যাট কামিন্সরা।
ম্যাচের দ্বিতীয় দিনের শেষে দ্বিতীয় ইনিংসে ভারতের স্কোর ছিল ১৪১ রানে ৬ উইকেট। আশা ছিল এদিন যদি আরও অন্তত গোটা পঞ্চাশেক রান তোলা যায় তাহলেও অস্ট্রেলিয়াকে চাপে ফেলা যাবে। কিন্তু সেটা হতে দিলেন না প্যাট কামিন্সরা। তৃতীয় দিন সকালে মাত্র ১৬ রান যোগ করে প্যাভিলিয়নে ফিরলেন ভারতের শেষ চার ব্যাটার। আগেরদিনের দুই অপরাজিত ব্যাটার জাদেজা এবং ওয়াশিংটন সুন্দর, দুজনকেই ফেরালেন কামিন্স। সিরাজ এবং বুমরাহ ফিরলেন বোল্যান্ডের বলে। ভারতের ইনিংস শেষ হল মাত্র ১৫৭ রানে। লিড ১৬১ রান।
১৬২ রানের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে খেলতে নেমে শুরুটা খানিক নড়বড়ে হলেও শেষ পর্যন্ত ৬ উইকেটে অনায়াসে টেস্ট জিতে নিল অস্ট্রেলিয়া। আসলে সিডনির পিচ যতই খারাপ হোক, মাত্র ১৬২ রান পুঁজি নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিং বিভাগকে চাপে ফেলা সহজ কাজ ছিল না। তার প্রধান কারণ, অধিনায়ক বুমরাহর মাঠে না থাকা। বুমরাহর অনুপস্থিতিতে এদিন ভারতীয় বোলাররা শুরুর দিকের ৩-৪ ওভারে একেবারে নিয়ন্ত্রণ দেখাতে পারলেন না। দুই অজি ওপেনার মাত্র ৩ ওভার ৫ বলে প্রথম উইকেটেই তুলে ফেললেন ৩৯ রান। এর পর অবশ্য খানিকটা লড়াইয়ে ফেরে ভারত। প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ অল্প সময়ের ব্যবধানে পর পর ফিরিয়ে দেন কনস্টাস, লাবুশেন এবং স্মিথকে। কিন্তু তারপর বুদ্ধিদীপ্ত ব্যাটিংয়ে অস্ট্রেলিয়াকে জিতিয়ে দিলেন খোয়াজা, হেড এবং ওয়েবস্টার।
সিডনির জয়ের ফলে বর্ডার-গাভাসকর সিরিজ ৩-১ ব্যবধানে পকেটে পুরল অস্ট্রেলিয়া। যার অর্থ এক দশক টিম ইন্ডিয়ার দখলে থাকার পর অস্ট্রেলিয়ায় ফিরছে ট্রফি। তবে ভারতের জন্য আরও বড় ধাক্কা, বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালের আশা পুরোপুরি শেষ হয়ে যাওয়া। এদিনের জয়ে অস্ট্রেলিয়ার ফাইনালে ওঠা নিশ্চিত হয়ে গেল। প্রথমবার বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল হবে ভারতকে ছাড়া। মুখোমুখি হবে দক্ষিণ আফ্রিকা এবং অস্ট্রেলিয়া।