সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অ্যাডিলেড টেস্টে প্রবল চর্চায় ছিল ট্র্যাভিস হেডের সঙ্গে মহম্মদ সিরাজের ঝামেলা। যার জেরে শাস্তিও পেতে হয়েছে ভারতীয় বোলারকে। অবশেষে হেড বিতর্ক নিয়ে মুখ খুললেন সিরাজ। অন্যদিকে প্রাক্তন ছাত্রের সমর্থনে এগিয়ে এলেন রবি শাস্ত্রী।
কী ঘটেছিল পিঙ্ক বল টেস্টে? হেডকে আউট করার পর আগ্রাসী ভঙ্গিতে অজি ব্যাটারকে বাইরের পথ দেখান সিরাজ। পালটা হেডও কটূক্তি করেন। পরে সাংবাদিক সম্মেলনে হেড দাবি করেন, তিনি কোনও খারাপ কথা বলেননি। বরং সিরাজের বলের প্রশংসাই করেছিলেন। অজি ব্যাটারের দাবি নস্যাৎ করে তৃতীয় দিনের শুরুতে সিরাজ জানান, “আমি সেলিব্রেট করছিলাম। তখনই ও আমাকে খারাপ কথা বলে। তার পর সাংবাদিক সম্মেলনে এসে যা বলল, সেটা সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা। পরিষ্কার দেখাও যাচ্ছে, হেড আমাকে কী বলেছে।”
ঝামেলার জেরে আইসিসির তোপের মুখে পড়তে হয় সিরাজ ও হেডকে। আইসিসির নিয়ম লঙ্ঘনের অপরাধে দুজনের নামের পাশেই এক ডিমেরিট পয়েন্ট যোগ হয়েছে। সেই সঙ্গে কোড অফ কনডাক্টের আর্টিক্যাল ২.৫ লঙ্ঘন করায় ম্যাচ ফির ২০ শতাংশ কাটা হয় সিরাজের। এক্ষেত্রে হেডের থেকে বেশি শাস্তি পেতে হয়েছে ভারতীয় পেসারকে। যদিও ম্যাচের পর সেসব নিয়ে আর মাথা ঘামাননি তিনি। এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে সিরাজ বলেন, "হ্যাঁ, এখন সব ঠিক আছে।" জরিমানা নিয়েও মন্তব্য করেননি। বরং সেই প্রসঙ্গে না ঢুকে উত্তর দেন, "আমি এখন জিমে যাচ্ছি।"
তবে সোজাসাপটা উত্তর দিলেন রবি শাস্ত্রী। তাঁর স্পষ্ট বক্তব্য, "ছয় খাওয়ার পর একজন ফাস্ট বোলারের থেকে আমি এরকম আচরণই আশা করি। এটাই একজন পেসারের মানসিকতা হওয়া উচিত। আমি যখন খেলতাম, আমার নীতি ছিল, যেরকম পাবে, ঠিক সেরকমই ফেরত দেবে। অস্ট্রেলিয়ায় কোচিং করতে যাওয়ার সময় প্লেয়ারদেরও আমি ঠিক তাই বলতাম। একবিন্দুও পিছু হটবে না।" এবার দেখার শাস্ত্রীর পরামর্শে জ্বলে ওঠেন কিনা সিরাজ?