সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নতুন বছরের প্রথম টেস্ট। তাও আবার মহাগুরুত্বপূর্ণ। সিরিজের নির্ণায়ক ম্যাচ। এই টেস্টের উপর অনেকটা নির্ভর করছে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালের ভাগ্যও। এ হেন টেস্টে কেমন হবে পিচ? আগ্রহ স্বাভাবিক। সিডনি টেস্টের পিচ নিয়ে প্রথম প্রতিক্রিয়ায় পিচ কিউরেটর অ্যাডাম লুইস।
তিনি জানিয়েছেন, ম্যাচের দুদিন আগেই পিচের উপর থেকে ঢাকা সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। পিচের উপরের ঘাস সাত মিলিমিটার কেটে দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ ঘাস প্রায় নেই বললেই চলে। ভারী রোলারও ব্যবহার করা হচ্ছে। এবং সামান্য জল ছেটানো হচ্ছে। তার উপর আবার সিডনিতে ভালো গরম পড়েছে। রোদের তাপে ঘাস যেটুকু রয়েছে, সেটাও শুকিয়ে যেতে পারে। তাছাড়া পিচের আর্দ্রতা বজায় রাখাও চ্যালেঞ্জ কিউরেটরের।
অ্যাডাম লুইস যা জানাচ্ছেন তাতে সিডনির ওই পিচ থেকে পেসারদের সাহায্য পাওয়ার কথা নয়। যদি না সিডনির আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হয়, তাহলে পেসাররা আগের চার ম্যাচের মতো প্রভাবশালী নাও হতে পারেন। এমনিতেই সিডনির পিচ বরাবর উপমহাদেশের মতো হয়। স্পিনাররা সাহায্য পান। ব্যাটাররাও ভালো রান পান। সেট হলে বড় রান পাওয়া কঠিন নয়। অ্যাডাম লুইস বলছেন, পিচের চরিত্র বিশেষ বদল করা হয়নি। তিনি পাঁচদিনের ক্রিকেট খেলার উপযুক্ত ২২ গজ তৈরির চেষ্টা করেছেন।
সব ঠিক থাকলে সিডনির পিচ ভারতের পক্ষে সুবিধাজনক হতে পারে। পেসাররা বাড়তি সাহায্য পাবেন না। শেষদিকে স্পিনাররা সাহায্য পেতে পারেন। ভারত সম্ভবত দলের কম্বিনেশন বদলাবে না। ওয়াশিংটন সুন্দর বা রবীন্দ্র জাদেজারা পরিস্থিতির সুযোগ নিতে পারলে সুবিধাই হবে টিম ইন্ডিয়ার। টস জিতলে সিডনিতে আগে ব্যাট করে নেওয়াই শ্রেয়। কিন্তু বড় প্রশ্ন হল, শুক্রবার সকালে ভারতের হয়ে টস করতে যাবেন কে? রোহিত শর্মা নাকি জশপ্রীত বুমরাহ?