স্টাফ রিপোর্টার: সিএবির ঘরোয়া ক্রিকেটে আম্পায়ারিং নিয়ে অভিযোগ নতুন কিছু নয়। অনেক ক্লাব আম্পায়ারদের সিদ্ধান্ত নিয়ে খুশি হতে পারে না। ক্লাব ক্রিকেটে আম্পায়ারিং নিয়ে যাতে কোনও অভিযোগ না থাকে, তার জন্য প্রযুক্তির ব্যবহারের ভাবনা-চিন্তা শুরু করে দিয়েছে সিএবি (CAB)। এবার থেকে ক্লাব ক্রিকেটেও ডিআরএসের ব্যবহার হতে পারে। সেরকমই ভাবনাচিন্তা করছে বঙ্গ ক্রিকেটের নিয়ামক সংস্থা।
সম্প্রতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় সিএবি প্রেসিডেন্ট হিসাবে ফিরেছেন। শোনা গেল, সৌরভ ইতিমধ্যেই ডিআরএস নিয়ে ভাবনা-চিন্তা শুরু করে দিয়েছেন। বেশ কয়েকটা বৈঠকও হয়েছে। এবছর চ্যাম্পিয়নশিপ পর্বে ডিআরএস প্রযুক্তির প্রয়োগ করা যায় কি না, সেটা নিয়েই আলোচনা করছেন সিএবি কর্তারা। তবে ডিআরএস ব্যবহারের ক্ষেত্রে সিএবির সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হল লজিস্টিক সমস্যা। চ্যাম্পিয়নশিপ রাউন্ডেও অনেক ম্যাচ রয়েছে। অবশ্য শুধু চ্যাম্পিয়নশিপ নয়, অবনমনের সব ম্যাচেও সিএবি ডিআরএসের প্রযোগ করতে চাইছে।
কিন্তু সমস্যা হল, বেশ কয়েকটা মাঠে ছাড়া এই প্রযুক্তি ব্যবহারের ক্ষেত্রে সমস্যা রয়েছে। ইডেন, সল্টলেকের যাদবপুর ক্যাম্পাস, কল্যাণী, ভিডিওকন, আদিত্য অ্যাকাডেমির মতো ছয়-সাতটা মাঠ ছাড়া বাকি মাঠগুলোতে ডিআরএস ব্যবহার করা খুব কষ্টসাধ্য। বিশেষ করে ময়দানের মাঠগুলোর ক্ষেত্রে। জানুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহের পর থেকে ইডেনও পাওয়া যাবে না। কারণ ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরু হয়ে যাবে। ফলে আইসিসির অধীনে চলে যাবে ইডেন। তখন স্থানীয় ক্রিকেটের ম্যাচ সম্ভব নয়। বিশ্বকাপ শেষের দু'সপ্তাহ পর থেকে আবার আইপিএল শুরু। মনে করা হচ্ছে, বিশ্বকাপ শেষের দিন দু'য়েক পরই কেকেআর মাঠ নিয়ে নেবে। ফলে সিএবির কাছেও বিকল্প মাঠ খুব বেশি থাকছে না।
খবর নিয়ে যা জানা গেল, তাতে ডিআরএস নিয়ে ইতিমধ্যেই সৌরভ আলোচনা করেছেন সিএবি কর্তাদের সঙ্গে। সিএবি সভাপতি নিজেও প্রবলভাবে চাইছেন স্থানীয় ক্রিকেটে ডিআরএস ব্যবহার করতে। যাতে আম্পায়ারিং নিয়ে কোনও প্রশ্নের অবকাশ না থাকে। সৌরভ বর্তমানে দক্ষিণ আফ্রিকায় রয়েছেন। তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, "ক্লাব ক্রিকেটে ডিআরএস চালু করার ব্যাপারটা অবশ্যই আমাদের পরিকল্পনায় রয়েছে। এটা নিয়ে আলোচনাও হয়েছে। তবে বেশ কিছু ব্যাপার আগে ঠিক করতে হবে। তারপর চূড়ান্ত করে সবকিছু বলা যাবে।" যা খবর, তাতে আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে পুরো ব্যাপারটা চূড়ান্ত হয়ে যেতে পারে। শেষপর্যন্ত যদি স্থানীয় ক্রিকেটে ডিআরএস চালু করা যায়, কলকাতা ময়দানে নিঃসন্দেহে তা এক অভিনব পদক্ষেপ হবে।
