সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি (Champions Trophy 2025) যে হাইব্রিড মডেলেই হতে চলেছে, তা একপ্রকার নিশ্চিত। যদিও আইসিসির তরফ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি। আগের গোয়ার্তুমি থেকে পিছু হটলেও, পাকিস্তানের বোর্ডের তরফ থেকেও স্পষ্ট মতামত প্রকাশ করা হয়নি। আসলে আইসিসির সিদ্ধান্তের সঙ্গে জড়িয়ে যাচ্ছে আর্থিক ক্ষতির বিষয়। ভারত এই টুর্নামেন্ট থেকে নাম তুলে নিলে ক্ষতি হবে ৬০০০ কোটি টাকারও বেশি।
ভারত পাকভূমে যাবে না, এখান থেকেই পাকিস্তানের যত সমস্যার সূত্রপাত। নিরাপত্তার বিষয় সেক্ষেত্রে বার বার সামনে আসছে। যেখান থেকে উঠে এসেছে হাইব্রিড মডেলের প্রসঙ্গ। যাতে প্রথমে তীব্র আপত্তি ছিল পিসিবি-র। অবশেষে প্রবল চাপের মুখে তারা নতিস্বীকার করেছে বলেই খবর। আর সেই চাপটা এসেছে খোদ আইসিসির তরফ থেকেও।
এই প্রথমবার আইসিসি মিডিয়া সত্ত্ব চার বছরের জন্য বিক্রি করছে। তার মধ্যে ভারতের বাজারের জন্য তা বিক্রি হচ্ছে আলাদাভাবে। অর্থাৎ সারা বিশ্ব থেকে যে আয় আসবে, তার ৯০ শতাংশ আসবে শুধু ভারত থেকেই। আর সেই অঙ্কটা চোখ কপালে তোলার মতো। ভারতীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ ৬৩৫২ কোটি টাকা। ভারত যদি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে না খেলে, সেক্ষেত্রে এই বিরাট অঙ্কের টাকার ক্ষতিপূরণ মেনে নিতে হবে আইসিসিকে। অন্যদিকে পাকিস্তান নাম সরালে ক্ষতিপূরণ কোনওভাবেই ৭৫০ কোটি টাকার বেশি হবে না।
ফলে, আইসিসিও যে ভারতকে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে চাইবে, সেটা খুবই স্বাভাবিক ব্যাপার। তাই হাইব্রিড মডেলই সেরা রাস্তা। আর আইসিসির হাতে সেই ক্ষমতাও আছে, কোনও টুর্নামেন্টের পদ্ধতি ঠিক করার। এক সূত্রের মতে, 'আইসিসির হাতে সেই অধিকার আছে, কোনও টুর্নামেন্টকে অন্যদেশে সরিয়ে নেওয়ার। সেক্ষেত্রে দেখা হয়, ওই টুর্নামেন্টের জন্য সবচেয়ে ভালো কোনটা হবে। সিদ্ধান্তটা এত কঠিনও হয়, যতটা ভাবা হচ্ছে'।