আলাপন সাহা: গত বছর এশিয়া কাপ যেভাবে হয়েছিল, আসন্ন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিও ঠিক সেরকমই হাইব্রিড মডেলেই হতে চলেছে। সামনের বছর ফেব্রুয়ারিতে শুরু হবে এই টুর্নামেন্ট। পাকিস্তানের তরফ থেকে যতই বলা হোক না কেন যে, ভারতকে তাদের দেশে গিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলতে হবে। সেটা একপ্রকার অসম্ভব। ভারতীয় বোর্ড কর্তারা পরিষ্কারভাবে বলে দিচ্ছেন, এই ব্যাপারে সরকারের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত হবে। যদিও টুর্নামেন্টের এখনও মাস চারেক বাকি। কিন্তু যা গতিপ্রকৃতি তাতে এশিয়া কাপের মতোই হাইব্রিড মডেলেই যে সিলমোহর পড়তে চলেছে, সেটা পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডও হয়তো বুঝে গিয়েছে।
এশিয়া কাপে পাকিস্তান ঘরের মাঠে কয়েকটা ম্যাচ খেলেছিল। বাকি সব ম্যাচ হয়েছিল শ্রীলঙ্কায়। ঠিক সেভাবেই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আয়োজন হতে পারে। তবে শ্রীলঙ্কার পরিবর্তে ম্যাচ হবে দুবাইয়ে। যা জানা গেল, তাতে পাকিস্তান নিজেদের সব ম্যাচ (ভারত বাদে) ঘরের মাঠে খেলবে। আর রোহিত শর্মারা সব ম্যাচ খেলবেন দুবাইয়ে। আইসিসি-র অন্দরমহলে খবর নিয়ে যা জানা গেল, এখনও পর্যন্ত ঠিক হয়ে আছে যে হাইব্রিড মডেলেই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি হবে। সেরকমভাবেই সবকিছু আয়োজনের পরিকল্পনা চলছে।
দুটো সেমিফাইনালের একটা রাখা হচ্ছে পাকিস্তানে। আর একটা দুবাইয়ে। ভারত যদি সেমিফাইনালে খেলে, তাহলে রোহিতরা দুবাইয়েই সেমিফাইনাল খেলবেন। ঠিক সেভাবেই ফাইনাল নিয়েও পরিকল্পনা রয়েছে। দুটো ভেনু রাখা হচ্ছে। ভারত যদি ফাইনালে ওঠে, তাহলে সেটা হবে দুবাই। আর রোহিতরা যদি ফাইনালে উঠতে না পারেন, তাহলে ফাইনাল অনুষ্ঠিত হতে পারে লাহোরে। আইসিসির সঙ্গে যুক্ত কেউ কেউ বলছিলেন, ‘‘টুর্নামেন্টের এখনও বেশ কিছু সময় বাকি থাকলেও, তবে হাইব্রিড মডেলেই সম্ভবত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি হতে চলেছে। ভারতের সব ম্যাচ হবে দুবাইয়ে। সেমিফাইনাল, ফাইনালের ভেনুও সেভাবেই করা হচ্ছে।’’যা খবর, তাতে মাস দেড়েকের মধ্যেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়ে যেতে পারে।