দেবাশিস সেন, লিডস: লিডস টেস্টের চতুর্থ দিনের খেলা সবেমাত্র শেষ হয়েছে। ঠিক তখনই খবরটা আসে। প্রয়াত দিলীপ দোশী (Dilip Doshi Death)। খবরটা শোনার পর বিশ্বাস করতে কষ্ট হচ্ছিল। কিছুদিন আগেই দেখা হয়েছিল। লর্ডসে অস্ট্রেলিয়া বনাম দক্ষিণ আফ্রিকার বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল দেখতে এসেছিলেন। পুরোদস্তুর ফিট। ভারতীয় ক্রিকেট নিয়ে অনেক কথাবার্তা বললেন।
শুভমান গিলের প্রশংসা করে বলেছিলেন, "শুভমানের মধ্যে অসম্ভব রানের খিদে। সেটাই আমার খুব পছন্দ। মানছি 'সেনা' (দক্ষিণ আফ্রিকা, ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া) দেশে খুব একটা সাফল্য পায়নি। তবে ও দুর্ধর্ষ ক্রিকেটার।" জশপ্রীত বুমরাহ নিয়ে দোশীর বক্তব্য ছিল, "এই সিরিজে বুমরাহই পার্থক্য গড়ে দেবে। ভারতের উচিত তিনজন জেনুইন পেসার নিয়ে খেলা। সঙ্গে রবীন্দ্র জাদেজা আর কুলদীপ যাদব। ভারতীয় টিম যথেষ্ট ভালো। শুধু ওদের মধ্যে বিশ্বাসটা রাখতে হবে। ইংল্যান্ডে এসে যে ইংল্যান্ডকে হারানো যায়, সেই বিশ্বাস রাখতে হবে নিজেদের মধ্যে।"
ছেলে থাকেন লন্ডনে। ঠিক ছিল, কিছুদিন পর দেশে ফিরে যাবেন। সেটা আর হল না। খবর নিয়ে জানা গেল, লন্ডনেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত ভারতীয় ক্রিকেটের অন্যতম সেরা বাঁ-হাতি স্পিনার। ৩২ বছরে টেস্ট অভিষেক। ৩৩ টেস্টে ১১৪ উইকেট। একাশিতে মেলবোর্নে ভারতের ঐতিহাসিক জয়ের নেপথ্য নায়কও ছিলেন তিনি। কথা বলতে গিয়ে বারবার সেই ম্যাচের প্রসঙ্গ চলে আসত। খুব বেশিদিন অবশ্য আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলেননি। আশির দশকে যেভাবে ভারতীয় ক্রিকেট চলত, তার সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারেননি। তাই দ্রুতই অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়ে নেন। লিডস টেস্টের শেষ দিন রোমহর্ষক সমাপ্তির অপেক্ষায়। টেস্ট জেতার মতো জায়গাতেও রয়েছেন শুভমানরা। কিন্তু তার আগেই এমন একটা খবর শোকে ঢেকে দিয়ে গেল ভারতীয় ক্রিকেটকে।
এক নজরে দিলীপ দোশী
টেস্ট অভিষেক
১১-১৬ সেপ্টেম্বর, ১৯৭৯ বিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া
শেষ টেস্ট
১৪-১৯ সেপ্টেম্বর, ১৯৮৩, বিপক্ষ পাকিস্তান
মোট টেস্ট: ৩৩, উইকেট: ১১৪, সেরা বোলিং: ৬/১০২
ওয়ান ডে অভিষেক
৬ ডিসেম্বর, ১৯৮০, বিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া
শেষ ওয়ান ডে
১৭ ডিসেম্বর,
১৯৮২. বিপক্ষ পাকিস্তান
মোট ওয়ান ডে: ১৫, উইকেট: ২২, সেরা বোলিং: ৪/৩০
