shono
Advertisement
IND vs SA

বরুণ-অস্ত্রে ম্যাচ জিতে সিরিজ জয় ভারতের, বিশ্বকাপের জন্য তৈরি সঞ্জু-হার্দিকও, 'গম্ভীর' চিন্তায় সূর্যর ফর্ম

আহমেদাবাদে পঞ্চম টি-টোয়েন্টিতে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারাল ভারত।
Published By: Arpan DasPosted: 10:57 PM Dec 19, 2025Updated: 11:20 PM Dec 19, 2025

ভারত: ২৩১/৫ (তিলক ৭৩, হার্দিক ৬৩, বশ ৪৪/২)
দক্ষিণ আফ্রিকা: ২০১/৮ (ডি'কক ৬৫, বরুণ ৫৩/৪)
ভারত ৩০ রানে জয়ী।
৩-১ ব্যবধানে সিরিজ জয় ভারতের।

Advertisement

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এই মাঠে ২০২৩ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনালে স্বপ্নভঙ্গ। দেশের ক্রিকেটপ্রেমীরা চাইবেন আজ থেকে মাস তিনেক পরে এই মাঠেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ফের হাতে তুলে সেই যন্ত্রণা ভুলতে। সত্যি কথা বলতে, এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে টিম ইন্ডিয়ার প্রতিটি ম্যাচ, প্রতিটি ইনিংসকে মাপা হচ্ছে আগামী বছরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রস্তুতির নিরিখে। কোনটা মাপে-মাপে বসছে? কোন সমস্যার সমাধান হল না? শুধু থিঙ্ক ট্যাঙ্কের মগজাস্ত্রে নয়, হিসেবনিকেশ চলছে দেশের প্রতিটি ক্রিকেটভক্তের মস্তিষ্কে। আহমেদাবাদে শেষ ম্যাচ জিতে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৩-১ ব্যবধানে সিরিজে হারানো ট্রফি ক্যাবিনেটে আরেকটি পালক জুড়ল ঠিকই। সেই সঙ্গে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ব্লু-প্রিন্টও প্রায় তৈরি হয়ে গেল। সেখানে তৈরি হার্দিক পাণ্ডিয়া-সঞ্জু স্যামসনরা। বরুণ চক্রবর্তীর স্পিন-অস্ত্রে প্রোটিয়ারা এদিন যেভাবে ৩০ রানে হারল, তাতে তিনি যে বিশ্বকাপ অভিযানে বড় ভূমিকা নেবেন বলাই বাহুল্য। ৫ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ ভারত জিতল ৩-১ ব্যবধানে। তবে দুশ্চিন্তা কাটল না সূর্যকুমার যাদবকে নিয়ে।

এই ম্যচে নামার আগে সূর্যকুমাররা ২-১ ব্যবধানে সিরিজ এগিয়ে ছিলেন। ফলে সিরিজ হারের সম্ভাবনা ছিল না। শেষ টি-টোয়েন্টিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করে ভারত। অবশেষে সুযোগ পেয়েছেন সঞ্জু স্যামসন। শুভমান গিলের চোটের জন্য তাঁর কপাল খুলেছে। অভিষেক শর্মা ও সঞ্জু স্যামসনের হাত ধরে ভারতের ব্যাটিংয়ের শুরুটা বেশ দাপটের সঙ্গেই হয়। অভিষেক ২১ বলে ৩৪ রান করে আউট হন। অন্যদিকে জর্জ লিন্ডের বলে বোল্ড হয়ে যান সঞ্জু। ২২ বলে ৩৭ রান করে ফেরেন। অনেকে যেমন বলছেন, চারটে চার ও দু’টো ছক্কা হাঁকানো ইনিংসটা যেন ‘বঞ্চনা’র উত্তর। স্বপ্নের ফর্ম জারি তিলক বর্মারও। ৪২ বলে ৭৩ রান করেন। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে যা ভারতীয় দলের জন্য বিরাট স্বস্তির।  তবে হার্দিক পাণ্ডিয়া মেজাজে থাকলে আর কারও উপর কি আলো পড়ে? শুরুটা করলেন ছয় দিয়ে। প্রথম সাত বলে রান ৩১। লিন্ডের এক ওভারে নিলেন ২৭ রান। শেষ পর্যন্ত হাফসেঞ্চুরি এল ১৬ বলে। ২৫ বলে ৬৩ রান করে শেষ ওভারে আউট হন। ৫ উইকেট হারিয়ে ২৩১ রান তোলে ভারত।

জবাবে দক্ষিণ আফ্রিকাও কিন্তু শুরুটা ভালোই করেছিল। বরং কুইন্টন ডি'কক যেভাবে চার-ছক্কা হাঁকানো শুরু করেছিলেন, তাতে মনে হচ্ছিল সিরিজে সমতা ফিরিয়ে ফেলতে পারেন তাঁরা। অর্শদীপের এক ওভারে ডি'কক তুললেন ২৩ রান। তবে বরুণ-বুমরাহরা থাকতে ভয় কীসের? রেজা হেন্ডরিকসকে ফিরিয়ে প্রোটিয়াদের প্রথম ধাক্কা দেন বরুণ। তারপরও দক্ষিণ আফ্রিকা থামেনি। অতএব রঙ্গমঞ্চে বুম বুম বুমরাহর আগমন। ডি'ককের ৩৫ বলে ৬৫ রানের ইনিংস থামল বুমরাহর বলে তাঁরই হাতে ক্যাচ দিয়ে। তারপর আর কেউ সেভাবে জয়ের স্বপ্ন দেখাতে পারেননি। ডেভিড মিলার অতীতের ছায়া। আইডেন মার্করামকে ধাঁধায় ফেললেন বরুণ। পরের বলেই আউট ডোনোভান ফেরেরা। শেষ পর্যন্ত তিনি থামলেন ৫৩ রান দিয়ে ৪ উইকেট নিয়ে। বুমরাহর সংগ্রহে ২ উইকেট। গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ডেওয়াল্ড ব্রেভিসকে ফেরান হার্দিক পাণ্ডিয়াও। অল্পবিস্তর রান খরচ করলেও দরকারের সময় সব বোলারই কার্যকরী ভূমিকা নিয়েছেন। সব মিলিয়ে ৮ উইকেট হারিয়ে ২০১ রানে থামে দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস।

এত ভালোর মধ্যে দুশ্চিন্তা থাকবে না, তা কী হয়? যেটা গত কয়েক ম্যাচ ধরেই দুশ্চিন্তার, সেটার এই ম্যাচেও সুরাহা হল না। ৫ রানে আউট হয়ে অফ ফর্মের ধারা বজায় রাখলেন অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব। কবে তিনি ফর্মে ফিরবেন সেটা 'গম্ভীর' প্রশ্ন। 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • আহমেদাবাদে শেষ ম্যাচ জিতে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৩-১ ব্যবধানে সিরিজে হারানো ট্রফি ক্যাবিনেটে আরেকটি পালক জুড়ল ঠিকই।
  • সেই সঙ্গে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ব্লু-প্রিন্টও প্রায় তৈরি হয়ে গেল। সেখানে তৈরি হার্দিক পাণ্ডিয়া-সঞ্জু স্যামসনরা।
  • ৫ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ ভারত জিতল ৩-১ ব্যবধানে। তবে দুশ্চিন্তা কাটল না সূর্যকুমার যাদবকে নিয়ে।
Advertisement