সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: টানা তিন টেস্ট হেরে ইতিমধ্যেই অ্যাশেজ হাতছাড়া হয়েছে ইংল্যান্ডের। এর মধ্যে বেন স্টোকসের (Ben Stokes) সতীর্থরা অত্যধিক মদ্যপানে চুর হয়ে থাকায় অভিযুক্ত। মদ্যপান বিতর্কে ক্রিকেটারদের পাশেই রয়েছেন ইংরেজ অধিনায়ক স্টোকস। তবে মদ্যপানের কথা কার্যত স্বীকারই করে নিয়েছেন।
অ্যাশেজের প্রথম তিনটি টেস্টের তিনটিই জিতেছে অস্ট্রেলিয়া। প্রবল চাপে ইংল্যান্ডের কোচ ব্র্যান্ডন ম্যাকালাম ও তাঁর আবিষ্কৃত ‘বাজবল’। দ্বিতীয় টেস্টে হারের পর চারদিনের ছুটি নিয়েছিলেন ইংল্যান্ড ক্রিকেটাররা। এখন যত নজর নুসার একটি রিসর্টে তাঁরা কী করেছিলেন সেদিকে। যা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে ইসিবি। এই পরিস্থিতিতে অবশেষে মুখ খুলেছেন বেন স্টোকস।
তিনি বলেন, "আমি তো আর পালিয়ে যাব না। বরং বাকি টেস্টগুলিতেও নেতৃত্ব দেব। তবে ইংল্যান্ডের অধিনায়ক হিসেবে এটি সম্ভবত আমার সবচেয়ে কঠিন সময়। সেই কারণে গোটা বিষয় আমি কীভাবে সামলাচ্ছি, তা আমার কাছে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ। অধিনায়ক হিসাবে সবার ভালো চাই। বিশেষত বিশেষ কয়েকজনের ভালো চাই। তবে এই মুহূর্তে আমার কাজ হল অধিনায়ক হিসাবে সতীর্থদের পাশে থাকা।"
আসলে দ্বিতীয় টেস্টে হারের পর ম্যাকালাম গোটা টিমকে ছুটি দিয়েছিলেন। এমনকী হারের যন্ত্রণা ভুলে তরতাজা হওয়ার জন্য ‘পার্টি’ করার কথাও বলেছিলেন। কিন্তু সেটা যে এই পর্যায়ে, তা কে জানত! স্টোকস বলছেন, "এই ধরনের পরিস্থিতি থেকে দ্রুত বেরিয়ে আসার একটাই উপায়। তা হল মাঠে নেমে সেরাটা দেওয়া। বাকি দু'টি ম্যাচ জিততে হবে। এটাই লক্ষ্য। দেশের জন্য সকলে যাতে সেরাটা দিতে পারে সে কথাই ওদের বিশ্বাস করাতে হবে। আমি ওদের পাশে রয়েছি।"
এর পরের টেস্ট মেলবোর্নে। তারপর সিডনিতে। দু'টি টেস্টে হারলে চুনকামের লজ্জা নিয়ে ফিরতে হবে ইংল্যান্ডকে। অধিনায়কত্ব নিয়েও টানাটানি পড়তে পারে। এই পরিস্থিতিতে বেন স্টোকসের সংযোজন, "অনেকেরই অভিযোগ নুসায় নাকি ক্রিকেটাররা অতিরিক্ত মদ্যপান করেছে। সেটা হলে সত্যিই অন্যায় হয়েছে। একটা আন্তর্জাতিক সিরিজ যখন চলছে, সেই সময় ক্রিকেটাররা কখনওই এটা করতে পারে না। কিন্তু এ পর্যন্ত আমি কিন্তু তেমন কোনও খবর পাইনি। তবে আমি নিজে কখনও মদ্যপান করিনি। এটা করলে তো চাপ কমে না। বরং অতিরিক্ত মদ্যপান করলে মনঃসংযোগে ব্যাঘাত ঘটে। কেউ দোষী প্রমাণিত হলে ছাড় পাবে না কেউই।"
