সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পহেলগাঁওয়ে জঙ্গিহানার পর একাধিক পাক তারকার সোশাল মিডিয়া বন্ধ করেছে ভারত সরকার। এর মধ্যেই ভাইরাল বাবর আজমের নাম করে একটি পোস্ট। যেখানে বলা হচ্ছে, পাকিস্তানের আর্মি সন্ত্রাসবাদকে প্রত্যক্ষ মদত দেয়। কিন্তু সত্যিই কি বাবর এরকম কোনও পোস্ট করেছেন? সত্যিটা কী?
সম্প্রতি ভাইরাল হয় পাক ক্রিকেটারের নাম করে একটি ইনস্টাগ্রাম স্টোরি। সেখানে লেখা হয়েছে, 'আমি সব সময় ভারতে খেলতে ভালোবাসি। ভারতকে নিজের দ্বিতীয় বাড়ি বলে মনে করি। এটা দুর্ভাগ্যজনক যে ভারতে আমার ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আমি পরিষ্কার করে বলতে চাই, পহেলগাঁও কাণ্ডে কোনও ক্রিকেটারের সমর্থন নেই। সবটাই পাকিস্তান আর্মির নোংরা খেলা আমি নাম নিতে চাই না। কিন্তু সবাই জানে, কারা ক্ষমতা শীর্ষে বসে আছে এবং সন্ত্রাসবাদে প্রত্যক্ষ মদত দিচ্ছে। পাকিস্তানের আর্মিকে বলতে চাই, তোমাদের কাজের জন্য বহু নিরীহ পাকিস্তানি মানুষের জীবন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। সন্ত্রাসবাদকে মদত দেওয়া বন্ধ করো।'
স্বাভাবিকভাবেই আগুনের গতিতে ভাইরাল হয়ে যায় বাবরের নামের এই পোস্ট। যেহেতু ভারতে বাবরের সোশাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট বন্ধ, তাই এদেশ থেকে অনেকেই সত্যিটা যাচাই করতে পারছেন না। তবে বাংলাদেশের একাধিক নেটিজেন প্রমাণ-সহ দাবি করছেন, এরকম কোনও পোস্ট বাবর করেননি। ফলে গোটা বিষয়টিই ভুয়ো। এক্স হ্যান্ডলেও বাবরের নামের এই পোস্টের তলায় বিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ হিসেবে জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে, এটা ভুয়ো।
সম্প্রতি পহেলগাঁও সন্ত্রাসের পর পাকিস্তানি অভিনেত্রী হানিয়া আমিরের নাম করে ভাইরাল হয় এক বিস্ফোরক পোস্ট! যেখানে দাবি করা হয়েছে, 'এই জঙ্গি হামলার জন্য পাকিস্তান সেনাবাহিনী দায়ী।' সাহায্য চেয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে নালিশও জানান তিনি! পরে হানিয়া সাফ জানালেন, ভাইরাল ওই পোস্ট সর্বৈব ভুয়ো। তাঁর নাম করে কেউ ভুয়ো খবর রটাচ্ছে।
