সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইংরেজিতে একটা কথা আছে, যার বাংলা অনুবাদ হতে পারে, সকাল দেখেই নাকি দিনটা কেমন যাবে বোঝা যায়। সত্যিই কী তাই? বাংলাদেশের ক্রিকেটার ও ভক্তরা নিশ্চয়ই চেন্নাই টেস্টের (IND vs BAN) প্রথম দিনের পর এই প্রবাদটা মানতে চাইবেন না। সকালে রোহিত-বিরাটদের ফেরানোর পর ফ্রন্টফুটে ছিলেন শান্তরা। কিন্তু দিনের শেষটা হল রবিচন্দ্রন অশ্বিনের সেঞ্চুরি দিয়ে। শতরানের দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে আছেন রবীন্দ্র জাদেজাও।
দিনের শুরুতেই ধাক্কা দিয়েছিলেন বাংলাদেশের তরুণ বোলার হাসান মাহমুদ। রোহিত-বিরাটের পাশাপাশি ফিরিয়ে দিয়েছিলেন শুভমান ও ঋষভ পন্থকেও। কেএল রাহুলও দ্রুত আউট হয়ে যান। ভারতের রান তখন ৬ উইকেটে ১৪৪। আদৌ ২০০ রানের গণ্ডি টপকাতে পারবেন কিনা, সেই প্রশ্নও উঠে গিয়েছিল। সেখান থেকে যে ৩৩৯ রান হয়ে গেল তাঁর নেপথ্যে রবিচন্দ্রন অশ্বিন ও রবীন্দ্র জাদেজা জুটি।
শুরু হল উলটো মার। বিশেষ করে অশ্বিনের ব্যাটিং যেন টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের মতো। জাদেজা যখন ধীরেসুস্থে উইকেট বাঁচাচ্ছিলেন, তখন বিধ্বংসী ব্যাটিং শুরু করেন অশ্বিন। দর্শনীয় কভার ড্রাইভ, সাহসী আপার কাট, এমনকী এগিয়ে এসে বলকে বাউন্ডারির বাইরেও পাঠিয়ে দিলেন। শতরান এল মাত্র ১০৮ বলে। চার-ছয়ের বন্যায় ভেসে গেল বাংলাদেশ। ঘরের মাঠে সেঞ্চুরির পথে মারলেন ১০টি চার, ২টি ছয়। স্ট্রাইক রেট ৯০-র উপর। প্রথম দিনের শেষে অশ্বিনের রান ১০২। জাদেজা ব্যাট করছেন ৮৬ রানে।
এই নিয়ে টেস্টে ছটি সেঞ্চুরি হয়ে গেল অশ্বিনের। তাঁর আগের টেস্ট সেঞ্চুরিটিও এসেছিল এই চেন্নাইয়ের মাঠে, ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে। অর্থাৎ ঘরের মাঠে পর পর দুই ইনিংসে সেঞ্চুরি হাঁকালেন। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে ভারতের হয়ে ১০০০-র বেশি রানও হয়ে গেল অশ্বিনের। সেই সঙ্গে জাদেজা-অশ্বিন জুটি গড়লেন নতুন কীর্তিও। ১৯৫ রানের পার্টনারশিপে ভারতের হয়ে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে সপ্তম উইকেটে সবচেয়ে বেশি রানের পার্টনারশিপ গড়লেন তাঁরা।