প্রথম ইনিংস
ভারত: ৫১৮/৫ ডিক্লেয়ার (যশস্বী ১৭৫, শুভমান ১২৯*, ওয়ারিকান ৯৮/৩)
ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ২৪৮ (আথানাজে ৪১, হোপ ৩৬, কুলদীপ ৮২/৫, জাদেজা ৪৬/৩)
দ্বিতীয় ইনিংস
ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ১৭৩/৩ (ক্যাম্পবেল ৮৭*, হোপ ৬৬*, সিরাজ ১০/১, ওয়াশিংটন ৪৪/১)
তৃতীয় দিনের শেষে ভারত এগিয়ে ৯৭ রানে।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যশস্বী জয়সওয়াল এবং শুভমান গিলের জোড়া সেঞ্চুরিতে ৫১৮ রানের পাহাড় গড়েছিল ভারত। জবাবে লড়াই করেও ফলো অন এড়াতে পারল না ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ২৪৮ রানে শেষ হল তাদের ইনিংস। ক্যারিবিয়ানরা ২৭০ রানে পিছিয়ে দেখে, প্রতিপক্ষকে ফলো অন চাপালেন ভারত অধিনায়ক শুভমান গিল। কিন্তু সেই ওয়েস্ট ইন্ডিজ কিন্তু লড়াকু মানসিকতার পরিচয় দিল। তৃতীয় দিনের শেষে পালটা লড়াইয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের রান ২ উইকেটে ১৭৩। ভারত এখনও এগিয়ে ৯৭ রানে।
তৃতীয় দিন সকালে ব্যাট করতে নেমেও যথেষ্ট বিপাকে পড়েন শাই হোপরা। প্রথম ঘণ্টাতেই পরপর চার উইকেট পড়ে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের। ১৪০ থেকে ১৭৫ রানের মধ্যে চার ক্যারিবীয় ব্যাটার প্যাভিলিয়নে ফেরেন। হোপ ৩৬ রান করলেও হতাশ করেন তেভিন ইমলাখ (২১), জাস্টিন গ্রিভসরা (১৭)। খানিকটা লড়াই করেন খ্যারি পিয়ের (২৩)। তবে দাঁতে দাঁত চেপে ফলো অন বাঁচানোর লড়াই চালিয়ে যান অ্যান্ডারসন ফিলিপ (২৪) এবং জেডন সিলস (১৩)। খ্যারির সঙ্গে এই দুই টেলএন্ডারের জুটিতেই ২৪৮ পর্যন্ত পৌঁছে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্কোর। তবে ২৭০ রানে পিছিয়ে থেকে ফলো অন চাপে চেজদের ঘাড়ে।
দ্বিতীয় ইনিংসে শুরুটাও অবশ্য খারাপ হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজের। চা পানের বিরতি পর্যন্ত ওয়েস্ট ইন্ডিজের দ্বিতীয় ইনিংসের রান ছিল ২ উইকেটে ৩৫। ৮.৩ ওভারে তেগনারিন চন্দ্রপলকে ফেরান মহম্মদ সিরাজ। পুল করতে গিয়ে তিনি ধরা পড়েন শুভমান গিলের হাতে। দুর্দান্ত ক্যাচ নেন ভারত অধিনায়ক। চন্দ্রপল ফেরেন ১০ রানে। এর ৬ ওভার পর অ্যালিক অ্যাথানাজ (৭)-কে বোল্ড করেন ওয়াশিংটন সুন্দর।
তারপরেই দুরন্ত লড়াই চালান ওপেনার জন ক্যাম্পবেল এবং শাই হোপ। শক্তিশালী ভারতীয় বোলিংয়ের বিরুদ্ধে কিছুতেই তাঁদের টলানো যায়নি। ক্যাম্পবেল অপরাজিত থাকলেন ১৪৫ বলে ৮৭ রানে। তাঁর ইনিংসটি সাজানো ৯টি চার এবং ২টি ছক্কা দিয়ে। অন্যদিকে, হোপের অপরাজিত ৬৬ রানের ইনিংসে ৮টি চার, ২টি ছয়। দিল্লির ঘূর্ণি পিচে জাদেজা, কুলদীপ, ওয়াশিংটনদের যেভাবে তাঁরা সামলালেন, তাতে প্রশংসা করতেই হয়। বাড়তি কোনও ঝুঁকি না নিয়ে তাঁরা স্বাচ্ছন্দ্যে এগিয়ে গেলেন। মারার বলকেও ছাড়লেন না। সিরিজে প্রথমবার শক্তপোক্ত দেখাচ্ছে ক্যারিবিয়ানকে। আর ৯৮ রান করলেই ইনিংসে হার বাঁচাবে রস্টন চেজের দল।
তৃতীয় দিনের শেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২ উইকেটে ১৭৩। ভারত ৯৭ রানে এগিয়ে থাকলেও কিছুটা হলেও চিন্তায় থাকবেন শুভমান গিল। চতুর্থ দিনের শুরুতে উইকেট তুলতে না পারলে এই টেস্টের ভবিষ্যৎ কোন খাতে বইবে, তা এখন থেকে বলে দেওয়া যায় না। ক্যাম্পবেল এবং হোপের জুটিতে এখনও পর্যন্ত উঠেছে ১৩৮ রান। কুলদীপ কি পারবেন চতুর্থ দিন ফের একবার ক্যারিবিয়ান ইনিংসে ধস নামাতে? তবে কেবল কুলদীপ নয়, বাকিদেরও দায়িত্ব নিতে হবে। নইলে দিল্লির ঘূর্ণি পিচে চতুর্থ ইনিংসে ব্যাট করতে হবে টিম ইন্ডিয়াকে।
