সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একেই বোধহয় স্বপ্নের অভিষেক বলে! এলেন, দেখলেন, জয় করলেন অশ্বনী কুমার। এ তো গেল মাঠের কথা। কিন্তু পিছনের সফরটা কেমন ছিল মুম্বইয়ের নতুন তারকার? মোহালি থেকে ওয়াংখেড়ে, রাস্তায় চড়াই-উৎরাই কেমন ছিল? যে কেকেআর একসময় তাঁকে দলে নেয়নি, সেই দলের বিরুদ্ধেই নিজের প্রমাণের মঞ্চ তৈরি করলেন অশ্বনী।
নাইট রাইডার্সের বিরুদ্ধে ৪ উইকেট তোলেন অশ্বনী। ম্যাচের সেরাও তিনি। এই জয়ের ফলে আইপিএলে কোনও একটি দলের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বেশি জয়ের রেকর্ড গড়ল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে অশ্বনীর বাবা মুখ খুললেন মুম্বইয়ের বোলারের সফর নিয়ে। তিনি বলেন, "গ্রীষ্ম হোক বা বৃষ্টি, অশ্বনী কখনই মোহালির অ্যাকাডেমিতে যাওয়া বন্ধ করেনি। কখনও কখনও সাইকেল নিয়েই চলে যেত।"
তাঁর আরও সংযোজন, "একটা সময় মাত্র ৩০ টাকা অটো ভাড়ার জন্য ওকে হাত পাততে হত। তাই যখন মহা নিলামে ৩০ লক্ষ টাকা পেয়েছিল, তার মূল্য আমরা বুঝতে পেরেছিলাম। ওর প্রত্যেকটা উইকেট দেখে আমার মনে পড়ছিল কষ্টের দিনগুলোর কথা। রোজ রাত ১০টার সময় বাড়ি ফিরত, আবার পরদিন সকাল পাঁচটার সময় ঘুম থেকে উঠত।"
জশপ্রীত বুমরাহ ও মিচেল স্টার্ককে আদর্শ বলে মানেন অশ্বনী কুমার। মজার বিষয়, বুমরাহর চোটের কারণেই অশ্বনীর সুযোগ পেতে আরও সুবিধা হল বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও এর আগে চেন্নাই সুপার কিংস, কলকাতা নাইট রাইডার্স ও রাজস্থান রয়্যালসে ট্রায়াল দিয়েছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সুযোগ পাননি। আর সেই নাইটদেরই তিনি বধ করলেন ৪ উইকেট নিয়ে। অশ্বনীর দাদা বলছেন, "এক সময় ওর বন্ধুরা টাকা তুলে দিত নতুন বল কেনার জন্য। সাধারণ জুতো পরে বল করত। যখন ও নিলামে ৩০ লক্ষ টাকা পেল, তখন প্রথমেই আমাদের গ্রামের কাছাকাছি ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে ক্রিকেট কিট আর বল কিনে দিয়েছিল। ও আমাকে সব সময় বলত, নিজের নামে জার্সি পরার স্বপ্ন দেখে। আমি নিশ্চিত আজকের পারফরম্যান্সের পর বাচ্চারা ওর নামের জার্সি পরবে।"