সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চলতি আইপিএলে প্রথমবার ওপেনিং নামেন তিনি। আর নেমেই লেটার মার্কস নিয়ে পাশ। ওপেনিংয়ে আসার কথাই ছিল না তাঁর। ফাফ ডু'প্লেসিসের অনুপস্থিতিতে জ্যাক ফ্রেজার-ম্যাকগার্কের সঙ্গে ইনিংস শুরু করেন রাহুল। তিনি এমন এক ব্যাটার, যাঁর ব্যাটিং অর্ডারে বারবার বদল ঘটেছে। যদিও এই বদলে তিনি অভ্যস্ত। আর বিশেষ অসুবিধা হয় না। এ কথা নিজেই বলেন রাহুল।
তাঁর কথায়, "ব্যাপারটার সঙ্গে আমি অভ্যস্ত। চলতি মরশুম শুরু হওয়ার আগে টপ অর্ডারে খেলার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। কোচের সঙ্গে কথাও বলেছিলাম। যদিও কোচ চেয়েছেন, চার নম্বরে ব্যাট করি। সিএসকে'র বিরুদ্ধে যেহেতু আমাদের এক ওপেনার খেলেনি, তাই ইনিংস শুরু করার সুযোগ পেয়েছি। ভালোই লাগছিল। আমি এতে অভ্যস্তও হয়ে গিয়েছি। কখনও টপ অর্ডারে, কখনও মিডল অর্ডারে খেলতে আমার অসুবিধা হয় না। এই ব্যাপারে মনকে বোঝাতে মাত্র কয়েক মিনিট লাগে।"
তাছাড়াও টিম ইন্ডিয়ার সহকারী কোচ অভিষেক নায়ারের প্রশংসা করে তাঁর সংযোজন, "সাদা বলের ক্রিকেট খেলার আনন্দটা ফিরে পেয়েছি এখন। যেটা হারিয়ে ফেলেছিলাম। আগে খেলাটা নিয়ে অনেক বেশি ভাবতাম। সারাক্ষণ মাথায় ঘুরত। এখন বুঝতে পেরেছি টি-টোয়েন্টি হল শুধু বাউন্ডারি মারার খেলা। আক্রমণাত্মক খেলো। বোলারদের চাপে ফেলো। এই নিয়ে অভিষেক নায়ারের সঙ্গে অনেক পরিশ্রম করেছি। এভাবেই নিজের খেলা আবার উপভোগ করছি।"
চেন্নাইকে তাদের ঘরের মাঠে ১৫ বছর পর হারিয়েছে দিল্লি। আর সেই জয়ের অন্যতম কারিগর কেএল রাহুল। চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে ৫১ বলে ৭৭ রানের ম্যাচজয়ী ইনিংস উপহার দিয়েছেন তিনি। বলা চলে, তাঁর ইনিংসে ভর করে দিল্লি ক্যাপিটালসের ইনিংস ১৮৩ রানে পৌছায়। রাহুলের এই ভূমিকায় মুগ্ধ দিল্লির কোচ হেমাঙ্গ বাদানিও। বিভিন্ন পজিশনে ব্যাটিং করায় তিনি দক্ষ, এ কথা তুলে ধরেন তিনি। তাছাড়াও রাহুলের মানসিকতাকে দৃঢ় বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।