সানরাইজার্স হায়দরাবাদ: ২৮৬-৬ (ঈশান ১০৬, হেড ৬৭)
রাজস্থান রয়্যালস: ২৪২-6 (ধ্রুব জুড়েল ৭০, সঞ্জু স্যামসন ৬৬)
হায়দরাবাদ ৪৪ রানে জয়ী।

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২০ ওভারে টার্গেট ২৮৭! পাহাড়প্রমাণ বললেও ভুল হয়, রবিবার হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে জিততে হলে একপ্রকার অসম্ভবকে সম্ভত করতে হত রাজস্থান রয়্যালসকে। সঞ্জু স্যামসন, ধ্রুব জুড়েলরা চেষ্টা করলেন। কিন্তু হায়দরাবাদের রানের ধারেকাছে পৌঁছতে পারলেন না। শেষমেশ রাজস্থান হারল ৪৪ রানে।
আসলে এদিন শুরুতেই ভুলটা করে ফেলেছিলেন রাজস্থানের অধিনায়ক রিয়ান পরাগ। হায়দরাবাদের পাটা উইকেটে টস জিতে বল করার সিদ্ধান্ত যে বুমেরাং হতে পারে, সেটা বোধ হয় প্রত্যাশিতই ছিল। হলও তাই। প্রথমে ব্যাট করে রেকর্ড ২৮৬ রান তুলে ফেলল অরেঞ্জ আর্মি। যার নেপথ্যে একসময় নিয়মিত জাতীয় দলে খেলা তথা অধুনা 'অবাধ্য' ঈশান কিষান। হায়দরাবাদের জার্সিতে প্রথম ম্যাচেই অনবদ্য সেঞ্চুরি করে গেলেন তিনি। মাত্র ৪৭ বলে ১০৭ রানের ইনিংসে যেন বিসিসিআইকে নিজের উপস্থিতির কথা মনে করালেন ঈশান। বাঁহাতি উইকেটরক্ষকের সেঞ্চুরি ছাড়াও ট্র্যাভিস হেডের ৩১ বলে ৬৭ এবং ক্লাসেনের ১৪ বলে ৩০ রানও উল্লেখযোগ্য। মাত্র দু'রানের জন্য হায়দরাবাদ নিজেদের গড়া সর্বাধিক রানের রেকর্ডটা ভাঙতে পারল না।
যাই হোক, ২৮৭ রানের বিরাট লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে খেলতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় রাজস্থান। মাত্র ২৪ রানের মধ্যে যশস্বী জয়সওয়াল এবং অধিনায়ক রিয়ান পরাগের উইকেট খুইয়ে চাপে পড়ে যায় রাজস্থানের দলটি। দ্রুত ফেরেন নীতীশ রানাও। সেখান থেকে অবশ্য পালটা লড়াই শুরু করেন দুই উইকেটরক্ষক। একজন সঞ্জু স্যামসন, অপরজন ধ্রুব জুড়েল। ১১১ রানের জুটি বেঁধে রাজস্থানকে সম্মানজনক জায়গায় পৌঁছে দিলেন তাঁরা। স্যামসন করলেন ৩৭ বলে ৬৭। জুড়েল করলেন ৩৫ বলে ৭০ রান। দুই উইকেটরক্ষক অনবদ্য ইনিংস খেলেছেন। কিন্তু ঈশানের সেঞ্চুরির ইনিংসের কাছে পরাস্ত হলেন তাঁরা। শেষদিকে হেটমেয়ার এবং শিবম দুবে মারকুটে ইনিংস খেললেও, ততক্ষণে ম্যাচের ফলাফল প্রায় নির্ধারিত হয়ে গিয়েছিল। শেষপর্যন্ত রাজস্থানের ইনিংস শেষ হয় ২৪২ রানে। হায়দরাবাদ জিতল ৪৪ রানে।
এই মুহূর্তে ভারতের টি-২০ দলে প্রথম পছন্দের উইকেটরক্ষক সঞ্জু স্যামসন। জাতীয় দলের চৌহদ্দিতে রয়েছেন ধ্রুব জুড়েলও। সেই তালিকায় খানিকটা হলেও পিছিয়ে ঈশান কিষান। তবে এদিনের সেঞ্চুরি ফের যে নির্বাচকদের ভাবাতে শুরু করবে, সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না।