সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হাতে আর মাত্র একটা দিন। তারপরই সব ফ্র্যাঞ্চাইজিকে নিজেদের রিটেনশনের তালিকা করে দিতে হবে। সমস্যা হল আগের বছরের থেকে মাত্র ৬ জন ক্রিকেটারকে রিটেন করা যাবে এই মরশুমে। তারও বহুবিধ শর্ত রয়েছে। ফলে রিটেনশনের তালিকা প্রস্তুত করতে গিয়ে মাথার চুল ছিঁড়তে হচ্ছে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলিকে। যে ফ্র্যাঞ্চাইজির সমস্যা সবচেয়ে বেশি সেগুলির মধ্যে একটি মুম্বই ইন্ডিয়ান্স।
পাঁচবারের আইপিএল চ্যাম্পিয়নদের গত দু-তিন মরশুম মোটেই ভালো যায়নি। বিশেষ করে গত মরশুমে রোহিত শর্মাকে সরিয়ে হার্দিক পাণ্ডিয়াকে অধিনায়ক করার পর পুরোপুরি ব্যর্থ হয় মুম্বই দল। আইপিএলের পয়েন্ট তালিকায় সবার নিচে শেষ করেছিল হার্দিক ব্রিগেড। ফলে এ বছর দলে বেশ কিছু বদল আনার চেষ্টা করা হতে পারে। তবে মুম্বইয়ে তারকার অভাব নেই। বলা ভালো, আইপিএলের অন্য সব দলের তুলনায় মুম্বইয়েই মহাতারকার সংখ্যা বেশি। সেই মহাতারকাদের ধরে রাখাটাও চ্যালেঞ্জ মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের জন্য।
মুম্বই ম্যানেজমেন্ট সূত্রের খবর, রোহিত শর্মা, জসপ্রীত বুমরাহ, হার্দিক পাণ্ডিয়া এবং সূর্যকুমার যাদব, এই চার তারকাকেই ধরে রাখতে চাইছে মুম্বই। সমস্যা হল, এঁরা চারজনই দেশের সেরা ক্রিকেটার। নিজ নিজ জায়গায় এদের বিকল্প নেই। এই চার তারকার প্রত্যেকেই হয়তো অন্য কোনও দলে থাকলে এক নম্বর রিটেনশনের দাবিদার। এখন মুম্বই এই চারজনকে কীভাবে রাখবে সেটাই লাখ টাকার প্রশ্ন। কাকে ১৮ কোটি টাকার স্লটে রাখা হবে, কাকে ১৪ কোটি দেওয়া হবে, কাকে ১১ কোটি দেওয়া হবে, এবং এত কিছুর পরও কারও মনে অসন্তোষ তৈরি হবে না, সবটা খেয়াল রাখতে হচ্ছে ম্যানেজমেন্টকে। তবে আর একটা বিকল্পের কথা শোনা যাচ্ছে। এই চারজনকেই সমান অঙ্কের টাকা দিতে পারে মুম্বই। সেক্ষেত্রে তাঁদের পার্স থেকে মোটা টাকা বেরিয়ে যাবে। তবে যে কোনও মূল্যে এই চার তারকাকে একত্রে খেলাতে চায় মুম্বই।
এর বাইরে আনক্যাপড ক্রিকেটার হিসাবে রাখা হতে পারে নেহাল ওয়াধেরাকে। আরও একটা নাম এক্ষেত্রে ভেসে আসছে। তিনি হলেন অন্সুল কম্বোজ। ইন্ডিয়া এ দলের হয়ে বেশ নজর কেড়েছেন তিনি। এই পাঁচ ক্রিকেটারকে রিটেন করার পরও অবশ্য একটি আরটিএম কার্ড পড়ে থাকছে মুম্বইয়ের হাতে। সেই আরটিএম কার্ডটি তাঁরা ব্যবহার করতে পারে তিলক বর্মার জন্য।