আলাপন সাহা: সানরাইজার্স হায়দরবাদ (SRH) টিম বাসটা বিকেলে ইডেনের সামনে দাঁড়াতেই একজনকে নিয়ে তুমুল চিৎকার। বাস থেকে নামার সময় হাতও দেখালেন। তিনি ট্র্যাভিস হেড (Travis Head)। বেশ ফুরফুরে দেখাচ্ছিল। কেকেআর খুব ভালো করেই জানে, বৃহস্পতিবার ইডেনে শুরুতে তাঁকে ফেরাতে না পারলে হেড-বৈশাখী নেমে আসতে পারে। ঠিক তেমনই হেডও বুঝে গিয়েছেন, তাঁকে আটকানোর জন্য স্পিনিং উইকেট তৈরি রাখছে কেকেআর (KKR)। সেটা বুঝেই হয়তো নেটে স্পিনারদের বিরুদ্ধে বেশিরভাগ সময়টাই পড়ে রইলেন অস্ট্রেলিয়ার এই ওপেনার। আগের দিন প্র্যাকটিসে আসেননি হেড। কিন্তু এদিন পুরোদমে ব্যাটিং মহড়া সেরে গেলেন।
অবশ্য শুধু হেড কেন, সানরাইজার্স হায়দরবাদের প্রায় সব ব্যাটাররা নেটে স্পিন খেলার উপর বাড়তি জোর দিলেন। শোনা গেল, হায়দরাবাদ টিম ম্যানেজমেন্টের তরফে সিএবিকে বলা হয়েছিল নেট বোলার হিসাবে যেন বেশি সংখ্যক স্পিনারের বন্দোবস্ত করা হয়। সেখানে অফ স্পিনার, বাঁ-হাতি স্পিনারের পাশাপাশি বেশ কয়েকজন লেগস্পিনারকেও ডাকা হয়েছিল। স্পিন বোলিং কোচ মুথাইয়া মুরলীধরন থেকে শুরু করে কোচ ড্যানিয়েল ভেত্তোরি বেশ কয়েকবার উইকেট দেখে গেলেন। ইডেন পিচ দেখে সাইরাইজার্স শিবির বেশ খুশি। তাঁরা ভালো করেই জানেন, কেকেআর শিবিরে যদি বরুণ চক্রবর্তী, সুনীল নারিনরা থাকেন, তাঁদের টিমেও একজন অ্যাডাম জাম্পা রয়েছেন। তরুণ লেগ স্পিনার জিশান আনসারি রয়েছেন। যিনি আবার দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে লোকেশ রাহুল, ফাফ ডু’প্লেসিদের আউট করে ইডেনে নামবেন। সঙ্গে আরও একজন রয়েছেন। রাহুল চাহার। ফলে পিচ যেমনই হোক, সে’সব নিয়ে বিন্দুমাত্র ভাবছে না হায়দরাবাদ। শোনা গেল, মুরলী থেকে ভেত্তোরি–প্রত্যেকেই ইডেনকে প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়ে যান। তাঁদের মতে, ইডেন এখন বিশ্বের সেরা মাঠ।
এতক্ষণ তো একজনের কথা বলাই হয়নি। তিনি মহম্মদ শামি। ইডেনের কন্ডিশন তাঁর খুব ভালো করে চেনা। ঘরের মাঠে নামার আগে বাড়তি তেতে রয়েছেন শামি। এদিন অবশ্য প্র্যাকটিসে আসেননি তিনি। মঙ্গলবার নেটে দীর্ঘক্ষণ বোলিং করেছিলেন। আইপিএলে পরপর ম্যাচ। সঙ্গে আবার প্রচুর ট্রাভেলও থাকে। তাই কেকেআর ম্যাচের আগের দিন বিশ্রাম নিয়ে নিজেকে আরও তরতাজা রাখলেন তিনি। হোটেলে জিম করলেন। লক্ষ্য এখন একটাই–ইডেনে কেকেআর-বধ করে জয়ের রাস্তায় ফেরা।