সানরাইজার্স হায়দরাবাদ: ১৬৩/ ১০ (অনিকেত ৭৪, ক্লাসেন ৩২, স্টার্ক ৫/৩৫, কুলদীপ ৩/২২)
দিল্লি ক্যাপিটালস: ১৬৬/৩ (ডু প্লেসিস ৫০, ম্যাকগার্ক ৩৮, জিশান আনসারি ৩/৪২)
৭ উইকেটে জয়ী দিল্লি।

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আশা জাগিয়ে অষ্টাদশ আইপিএল (IPL 2025) অভিযান শুরু করেছিল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ (SRH)। কিন্তু প্রথম ম্যাচের পর তাদের সেই চেনা দাপট উধাও। বলা চলে, দিল্লি ক্যাপিটালসের (DC) কাছে উড়ে গেল হায়দরাবাদ। ৭ উইকেটে তারা পরাস্ত করে সানরাইজার্সকে। চার ওভার বাকি থাকতেই জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় রান তুলে নেয় দিল্লি।
এদিন টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন সানরাইজার্স হায়দরাবাদ অধিনায়ক প্যাট কামিন্স। তবে কে জানত, তাঁর এই সিদ্ধান্ত বুমেরাং হয়ে যাবে। প্রথম ওভারের পঞ্চম বলে অভিষেক শর্মা মাত্র ১ রানে রানআউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন। এরপর রীতিমতো রুদ্রমূর্তি ধারণ করেন অজি পেসার মিচেল স্টার্ক। একে একে তিনি ফেরান ঈশান কিষান (২), নীতীশ কুমার রেড্ডি (০), ট্র্যাভিস হেডকে (২২)। এই নিয়ে ৮ ম্যাচে ৬ বার ট্র্যাভিস হেডকে আউট করে নজির গড়েন স্টার্ক। প্রথম ম্যাচে ঝোড়ো সেঞ্চুরির পর নজর ছিল ঈশানের দিকে। তবে এদিনও তিনি ব্যর্থ। আগের ম্যাচে তিনি শূন্যে ফিরেছিলেন।
৩৭ রানে ৪ উইকেট খুইয়ে ধুঁকতে থাকা সানরাইজার্সকে ম্যাচে ফেরান অনিকেত বর্মা এবং হেনরিখ ক্লাসেন। ৩২ রানে ক্লাসেন আউট হলেও অনিকেত কিন্তু লক্ষ্যে স্থির থাকেন। তাঁর ৪১ বলে ৭৪ রান হায়দরাবাদকে ভদ্রস্থ জায়গায় নিয়ে যায়। এই দু'জন ছাড়া অরেঞ্জ আর্মির হয়ে বলার মতো রান পাননি কেউ। মিচেল স্টার্ক ৩৫ রানে ৫ উইকেট পান। মাঝখানের ওভারগুলিতে কুলদীপ যাদবও অপ্রতিরোধ্য হয়ে ওঠেন। ২২ রানে ৩ উইকেট নিয়ে তিনিই সবচেয়ে কৃপণতম বোলার। ৮ বল বাকি থাকতেই ১৬৩ রানে গুটিয়ে যায় হায়দরাবাদের ইনিংস।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে ঝড়ের গতিতে শুরু করেন দিল্লির ওপেনার জ্যাক ফ্রেজার-ম্যাকগার্ক এবং ফাফ ডু প্লেসিস। এদিন লেগস্পিনার জিশান আনসারির অভিষেক হয়। তাই দিল্লির বিরুদ্ধে তিনি কেমন বোলিং করেন, সে দিকে নজর ছিল অনেকের। ২৭ বলে ৫০ রান করা ডু প্লেসিসকে যখন যখন ভয়ানক মনে হচ্ছিল, সেই সময়ই তাঁকে আউট করেন ২৫ বছরের এই লেগস্পিনার। একে একে তিনি ম্যাকগার্ক (৩৮), কেএল রাহুলকে (১৫) সাজঘরের রাস্তা দেখান। তবে, সানরাইজার্সের রান খুব সহজেই টপকে যেতে অসুবিধা হয়নি দিল্লির।