সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এই মুহূর্তে দুর্দান্ত ছন্দে রয়েছেন বিরাট কোহলি। ১০ ম্যাচে ৬৩.২৯ গড়ে ৪৪৩ রান করে কমলা টুপির লড়াইয়ে তৃতীয় স্থানে তিনি। সেই বিরাটের অনুপ্রেরণা কে? নিজেই জানিয়েছেন সে কথা। সেখানে উঠে এসেছে এক প্রোটিয়া তারকার নাম।
আইপিএলের শুরুর দিকের বছরগুলিতে বিরাটের উপর প্রভাব ফেলেছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকান তারকা মার্ক বাউচার। তখন তিনি একেবারেই তরুণ। ধীরে ধীরে ক্রিকেটে মাঠে কদম দৃঢ় করার চেষ্টা করছেন। এর মধ্যেই মাত্র ২০ বছর বয়সে চলে আসে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর হয়ে খেলার সুযোগ। সেখানেই আলাপ বাউচারের সঙ্গে। আরসিবি শিবিরে বাউচারের সঙ্গে গলফও খেলতেন মাঝেমাঝে। সেই বাউচারই পরামর্শ দিয়েছিলেন কোহলিকে। উপদেশ নিয়েই খেলার উন্নতি ঘটে তাঁর।
এক্স হ্যান্ডেলে প্রকাশিত আরসিবি'র পডকাস্টে বিরাট বলেন, "শুরুর দিকে আমি যে সমস্ত ক্রিকেটারের সঙ্গে খেলেছি, তাঁদের মধ্যে মার্ক বাউচারই সবথেকে বেশি প্রভাব ফেলেছিলেন। তিনি আমার দুর্বলতা খুঁজে বের করেছিলেন। সিনিয়র লেভেলে খেলতে গেলে কী কী করতে হবে, সেসব বাতলে দিয়েছিলেন। সবচেয়ে বড় প্লাস পয়েন্ট ছিল, কিছু বলার আগেই সবকিছু সুন্দরভাবে বুঝিয়ে দিতেন। বাউচার একবার বলেছিলেন, 'তিন-চার বছর পর ভারতে ধারাভাষ্য দিতে আসব। তখন যদি দেখি তুমি জাতীয় দলে খেলছ না, তাহলে বুঝব তোমার প্রতি অন্যায় হয়েছে'। তাঁর এই কথাটা আমাকে সত্যিই অবাক করে দিয়েছিল।"
তাছাড়াও কোহলিকে বলতে শোনা যায়, "যে ভালোবাসা বেঙ্গালুরুর সমর্থকের কাছে পেয়েছি, তা অভাবনীয়। কোনও ট্রফি জয়ের থেকেও তা বহুগুণে বড়।" সবশেষে তিনি বলেন, "আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি থেকে অবসরের বিষয়টা কোনও প্রভাব ফেলেনি আমার উপর। অনেক ভাবনাচিন্তা করেই সিদ্ধান্তটা নিয়েছিলাম। যে তরুণ ক্রিকেটাররা উঠে আসছিল, তাদেরও তো তৈরি হতে গেলে দু-তিন বছর সময় লাগত। চাপের মধ্যে কীভাবে খেলতে হবে, সেটা বুঝতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ওদের আরও বেশি করে সুযোগ পেতে হত। যাতে পরের বিশ্বকাপের আগে ওরা প্রস্তুত থাকতে পারে।" উল্লেখ্য, বিরাটের দল ১০ ম্যাচে ৭টিতে জিতে পয়েন্ট টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে।
