সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যুদ্ধ আবহে ধরমশালার ম্যাচ আদৌ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করা যাবে তো? অপারেশন সিঁদুরের পর থেকেই ক্রিকেট সমর্থকদের মনে উঁকি দিয়েছিল প্রশ্নটা। তবে পাকিস্তানের হম্বিতম্বিকে তোয়াক্কা না করেই লক্ষ্মীবারে মাঠ ভরিয়েছিলেন দর্শকরা। কিন্তু পুরো ম্যাচ দেখার ইচ্ছেপূরণ হল না। আশঙ্কা সত্যি করে পাক হামলার জেরে মাঝপথেই দিল্লি-পাঞ্জাব ম্যাচকে বাতিল বলে ঘোষণা করা হয়।
এদিন রাতে পাঞ্জাবের একাধিক এলাকা লক্ষ্য করে হামলা চালায় পাক সেনা। ব্ল্যাকআউট করে দেওয়া হয় সে রাজ্যের একাধিক জেলা। আর তার মধ্যেই আলো নিভে যায় ধরমশালা স্টেডিয়ামেরও। যা পাক সীমান্ত থেকে মাত্র ৬০ কিলোমিটার দূরেই অবস্থিত। খেলা চলাকালীন একে একে ধরমশালা স্টেডিয়ামের চারটি ফ্লাডলাইট বন্ধ করে দেওয়া হয়। এবং তার খানিক পরই ম্যাচ বাতিল বলে জানিয়ে দেন আম্পায়ার। সেই ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে স্টেডিয়াম থেকে দর্শক এবং আইপিএল আধিকারিকদেরও চলে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।
এদিন অক্ষর প্যাটেলদের বিরুদ্ধে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় পাঞ্জাব। ৭০ রানের দুরন্ত ইনিংস খেলেন প্রিয়ংশ আর্য। ৫০ রানে অপরাজিত প্রভসিমরন। ম্যাচের বয়স যখন ১০.১ ওভার, ঠিক তখনই একে একে নিভে যায় ফ্লাডলাইট। এক উইকেটে পাঞ্জাবের স্কোর তখন ১২২ রান। কিন্তু সেখানেই খেলা বাতিল হয়ে যায়। পুরো ম্যাচ উপভোগ করতে না পারায় 'পাকিস্তান মুর্দাবাদ' ধ্বনিও তোলেন দর্শকদের একাংশ। এদিকে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ভারতীয় বোর্ডের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, এলাকায় ব্ল্যাকআউটের জন্য়ই ম্য়াচ মাঝপথে বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ভারত-পাক সংঘাতের আবহে বাতিল হয়েছে বহু বিমান। ধরমশালা, পাঞ্জাব-সহ বন্ধ দেশের ২৮টি বিমানবন্দর। ফলে পাঞ্জাব থেকে ক্রিকেটারদের ফেরানোর জন্য বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করছে বোর্ড। উনা থেকে ছাড়বে সেই ট্রেন। আগামী ১১মে ধরমশালায় পাঞ্জাব বনাম মুম্বইয়ের যে ম্যাচ হওয়ার কথা, তা সম্ভবত সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। যদিও সেটা নিরাপত্তার কারণে নয়। বিমানবন্দর বন্ধ থাকায় যাতায়াতের অসুবিধার কথা ভেবে ম্যাচেটি আহমেদাবাদ সরানো হতে পারে বলে খবর।
