আলাপন সাহা: প্রায় একবছর পর মাঠে ফিরেছেন। রনজিতে দুরন্ত বোলিং করেছেন। সৈয়দ মুস্তাক আলি টি-টোয়েন্টিতেও ছন্দে রয়েছেন। এদিনও বিহারের বিরুদ্ধে চার ওভারে মাত্র আঠারো রান দিয়ে এক উইকেট নিলেন মহম্মদ শামি। ভারতীয় দলে এবার দ্রুত প্রত্যাবর্তন করতে চাইছেন তিনি। শোনা যাচ্ছে, অস্ট্রেলিয়া সফরের শেষ দিকে তিনি যেতে পারেন। আর তার জন্য বাড়তি প্রস্তুতি চলছে ভারতীয় পেসারের।
জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমির তরফে শামিকে বলে দেওয়া হয়েছিল যে তাঁকে ওজন কমাতে হবে। সেটার জন্য বিশেষ ডায়েট আগেই শুরু করে দিয়েছেন। লাঞ্চ বাদ দিয়েছেন। ডিনারে শুধু রুটি খাচ্ছেন। আর এবার বাড়তি অনুশীলনও শুরু করে দিয়েছেন শামি। মঙ্গলবার রাজকোটে টি-টোয়েন্টিতে বিহারের বিরুদ্ধে ম্যাচে পুরো চার ওভার বোলিং করলেন। শুধু তাই নয়, ম্যাচের পর আলাদা করে ট্রেনিং সেশন চলল ভারতীয় এই পেসারের।
রাজকোটে খবর নিয়ে জানা গেল, ম্যাচের পর শামি আরও এক ঘণ্টা প্র্যাকটিস করেন। টিমের কয়েকজনকে নিয়ে আলাদাভাবে ট্রেনিং করতে চলে যান তিনি। সেখানে টানা বোলিং করে যান। তার পর ফিল্ডিং করেন। শেষে আবার ব্যাটিং অনুশীলনও চলে শামির। রাজকোটে ভারতীয় পেসারের ঘনিষ্ঠরা বলছিলেন, "শামি নিজেকে নিয়ে কোন ঝুঁকি নিতে চাইছে না। ও বুঝতে পারছে ওর আর দু'তিন বছর ক্রিকেটই বাকি। ভারতীয় টিমে ফেরার জন্য যদি তাড়াহুড়ো করে ফেলে তাহলে হিতে বিপরীত হতে পারে।" এটাও শোনা গেল, আগের চেয়ে শামি এখন অনেক ফিট। বাংলা সংসারে যখন রনজি খেলতে এসেছিলেন, সেসময়ের চেয়ে প্রায় ৪-৫ কেজি ওজন তাঁর কমে গিয়েছে। তবে শামি নাকি নিজেও বুঝতে পারছেন, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরা নিয়ে তাড়াহুড়ো করা তাঁর উচিত হবে না। ঘরোয়া ক্রিকেটে ফেরার পর এ পর্যন্ত সব মিলিয়ে গোটা ষাটেক ওভার তিনি করে ফেলেছেন। তবে আরও একটু দেখে নিতে চান।
আপাতত যা খবর, তাতে বাংলা যদি নকআউট ওঠে, তাহলে শামি সেখানে খেলবেন। যদি মনে হয়, বিজয় হাজারে ট্রফিতেও প্রথম দিকে খেলতে পারেন। তাই যা পরিস্থিতি তাতে ভারতীয় জার্সিতে শামিকে ফের দেখার স্বপ্ন কিছুটা হলেও বিলম্বিত হতে পারে। হয়তো বা চতুর্থ টেস্টের আগে অস্ট্রেলিয়া উড়িয়ে দিয়ে যাওয়া হতে পারে তাঁকে।