সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একটা বিশ্বজয় কত অঙ্ক বদলে দেয়। স্মৃতি মন্ধানা, হরমনপ্রীত কৌরদের সাফল্য লিঙ্গবৈষম্যের বেড়াজাল ভেঙে দিচ্ছে। পুরুষ নয়, মহিলা নয়- স্বপ্নপূরণ হয়েছে কোটি কোটি দেশবাসীর। সেই অর্ধেক আকাশ জয়ে বোধহয় প্রত্যেক স্মৃতি মন্ধানার পাশে একজন পলাশ মুচ্ছল দরকার। যিনি অনায়াসে হাতে স্মৃতির নাম ও জার্সি নম্বরের আদ্যাক্ষর ট্যাটু করিয়ে গোটা বিশ্বকে দেখাতে পারেন।
ভারতের বিশ্বকাপ জয়ের সঙ্গে তুলনা করা হচ্ছে 'চক দে ইন্ডিয়া' সিনেমার সঙ্গে। এমনকী 'চক দে ২' করার পরামর্শও দিচ্ছেন অনেকে। সেই সিনেমায় প্রীতি সবরওয়াল বলে চরিত্রটি ব্রেকআপ করে তাঁর বাগদত্তার সঙ্গে। যিনি কিনা প্রীতিকে তাঁর স্বপ্নের সঙ্গে আপস করতে বলেছিলেন। প্রীতি বিশ্বকাপ জিতেছিলেন। এই ভারতীয় দলেও অনেকে আছেন, যাঁরা শুধুমাত্র মহিলা বলে অনেক বঞ্চনার শিকার হয়েছেন। বিশ্বজয়ের পর ভারত অধিনায়ক হরমনপ্রীত যেমন বার্তা দিয়েছেন, ক্রিকেট সবার খেলা।
ভারতের বিশ্বজয়ের গল্পে জায়গা করে নেবে স্মৃতি ও পলাশের রোম্যান্স কাহিনিও। সোশাল মিডিয়ায় পলাশ যে স্টোরি দিয়েছেন, তাতে দেখা যাচ্ছে তাঁর হাতে বিশ্বকাপ ট্রফি। সামনে স্মৃতি দু'হাত ছড়িয়ে দাঁড়িয়ে আছেন। আর সবচেয়ে আকর্ষণীয় পলাশের হাতের ট্যাটু। সেখানে লেখা 'এসএম১৮'। অর্থাৎ স্মৃতি মন্ধানা ও তাঁর জার্সি নম্বর ১৮।
স্মৃতির ক্রিকেট সফরে বহুভাবে পাশে আছেন পলাশ। শোনা যাচ্ছে, আগামী ২০ নভেম্বর, বৃহস্পতিবার নাকি বিয়ের কথা তাঁদের। ভারতীয় মহিলা দলের অন্য ক্রিকেটাররাও বেশ পছন্দ করেন পলাশকে। সাম্প্রতিক অতীতে একাধিকবার যুগলে দেখা গিয়েছে পলাশ-স্মৃতিকে। বিশ্বকাপের কয়েকদিন আগে পলাশের কনসার্টে গিয়েছিলেন স্মৃতি। সেখানে হবু স্ত্রীকে উৎসর্গ করে পলাশ গান গেয়েছিলেন। শুধু একজন ভারতীয় হিসাবে নয়, প্রেমিকার সাফল্যে যে খুশি না হয়ে কেউ থাকতে পারেন, তা যেন পলাশের পোস্টেই স্পষ্ট।
