বাঙালির পয়লা বৈশাখ মানেই নস্ট্যালজিয়া। পোশাক থেকে খাবার, আড্ডা থেকে হালখাতা, সবেতেই থাকে বাঙালিয়ানার ছাপ। তবে আজকের বাঙালি কি ততটাই উন্মুখ থাকে নববর্ষ নিয়ে? অতীতের স্মৃতিচারণা এবং নববর্ষের পরিকল্পনা ‘সংবাদ প্রতিদিন’ ডিজিটালে লিখলেন সিএবি সভাপতি স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়।

নববর্ষ মানে অনেকের কাছে কত নস্ট্যালজিয়া। কত স্মৃতি মেদুরতা জড়িয়ে থাকে এর সঙ্গে। আমার কাছে কিন্তু নববর্ষ একই রকম রয়ে গিয়েছে। সেই ছোটবেলায় যেরকম ছিল, আজও কিন্তু সেভাবে বদল হয়নি। উৎসবের আনন্দ-আবেগ সেরকমই রয়ে গিয়েছে।
আসলে কিছু জিনিস কোনও দিনই বদলায় না। পারিবারিক সংস্কার ও রেওয়াজ আজও আমাদের বাড়িতে একই রকম। নববর্ষের দিন সকালে আমাদের বাড়িতে মা চণ্ডীর পুজো হয়। এবারও পয়লা বৈশাখের সকালটা সেভাবেই কাটবে। বাড়িতে প্রত্যেক দিন পুরোহিত আসেন, পুজো হয়। এবারও নিয়মমাফিক তা হবে।
সাধারণত অন্যান্য বছর নববর্ষের দুপুরে একটু ভালোমন্দ খাবারের আয়োজন হয়। যেখানে অবশ্যই থাকে চিংড়ি মাছ। কিন্তু এবার সেটা হবে না। কারণ এবার পয়লা বৈশাখ পড়েছে মঙ্গলবার। ফলে বড়সড় আয়োজন হবে না। তবে সেই খাওয়াদাওয়াটা হবে পরদিন, মানে বুধবার। আসলে আগে এই দিনটায় সবাই একত্রিত হত। এখন তো সবাই ব্যস্ত। প্রত্যেকেই নিজের নিজের কাজে ব্যস্ত থাকে।
তবে হ্যাঁ। আরও একটা জিনিসের কোনও বদল হয়নি। নববর্ষ মানেই আমার কাছে পাঞ্জাবি মাস্ট। ছোটবেলায় পয়লা বৈশাখে নতুন জামাকাপড়ও যে হত না, তা নয়। সেখানে আর কিছু থাক না বা থাক, পাঞ্জাবি থাকতেই হবে। আর পাঁচজন বাঙালির মতো পয়লা বৈশাখের দিন পাঞ্জাবি পরতেই হবে। ব্যস, এই তো। নববর্ষ যেভাবে কাটত, আজও ঠিক সেরকমই। বদল আসেনি ঠিকই। কিন্তু বাড়িতে মা চণ্ডীর পুজো আর পাঞ্জাবি ছাড়া নববর্ষ অসম্পূর্ণ থেকে যায়।