সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষা মাধ্যমিক। যেকোনও পরীক্ষায় সাফল্য যেমন স্বাভাবিক, তেমন আবার রয়েছে ব্যর্থতাও। সাফল্যে যেমন উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতে হবে। তেমনই আবার ব্যর্থতাও মানতে হবে। তবে তা আর পারে ক'জন? বিশেষত, কৈশোরে মাধ্যমিক পরীক্ষায় (Madhyamik Result) যারা ব্যর্থ হল, তাদের ফলাফল মানতে কষ্ট হওয়াই স্বাভাবিক। এই সময় ব্যর্থতার জ্বালা ভুলতে তাদের পাশে অবশ্যই বাবা-মায়ের থাকা প্রয়োজন। কঠিন পরিস্থিতিতে কীভাবে পাশে থাকবেন সন্তানের? রইল টিপস।
১. পাশের বাড়ির পড়ুয়া দারুণ ফলাফল করেছে। তবে কেন তুমি পারলে না? সন্তানকে কখনও এই প্রশ্ন করবেন না। বরং তাকে বোঝান, মাধ্যমিকের ফলাফলই জীবনের সব কিছু স্থির করতে পারে না। আজ হয়তো ফল খারাপ হয়েছে ঠিকই। পরে আরও চেষ্টা করলে ফলাফল নিশ্চয়ই ভালো হবে।
২. পরীক্ষায় খারাপ ফল হওয়ায় সন্তান কান্নাকাটি করতে পারে। কেঁদে যদি সে হালকা হতে পারে, তবে তাকে কাঁদতে দিন। আজ না হয় আবেগের নিয়ন্ত্রণ তার হাতে ছেড়ে দিন।
৩. সন্তানকে একা করে দেবেন না। ওকে বোঝান জীবনের সাফল্য হোক কিংবা ব্যর্থতা - প্রতি মুহূর্তে আপনি ওর পাশেই আছেন।
৪. জীবনে সাফল্য এবং ব্যর্থতা দুইই থাকে। তাই তাকে মনোবল হারাতে দেবেন না। ইতিবাচক কথা বলে তাকে মানসিকভাবে শক্তিশালী করে তুলুন।
৫. সন্তানের মন চাঙ্গা করে তুলতে কিছু পরিকল্পনা করতে পারেন। আজ দুপুরে কিংবা রাতে তার পছন্দের কিছু রান্না করুন। প্রয়োজনে রেস্তরাঁয় খাওয়াতে নিয়ে যেতে পারেন। সন্তান ভালোবাসলে বাড়িতে একসঙ্গে সিনেমা দেখার পরিকল্পনা করতে পারেন।
বর্তমানে খুব ছোট বয়সেই শিশুরা স্কুলে যায়। আর তারপর থেকেই শুরু ইদুরদৌড়। আর পাঁচজনের সঙ্গে তাল মেলাতে এটা শিখতে হবে আর ওটা শিখতে হবে। পড়াশোনার চাপে খেলার মাঠেও যাওয়ার সময় পায় না বহু পড়ুয়া। তার ফলে খুব অল্প বয়সে মানসিক অবসাদ সঙ্গী হয় তাদের। তার উপর আবার ব্যর্থ হলে তো আর কথাই নেই। মানসিক অবসাদের কালো আঁধারে যেন ডুবে যায় তারা। এই পরিস্থিতিতে বাবা-মা হিসাবে তাদের পাশে থাকা ছাড়া আর কোনও বড় কাজ থাকতেই পারে না। 'ব্যর্থ' সন্তানকে বুকে আগলে রাখুন। তাতেই দেখবেন আজকের ব্যর্থতা আর আপনার পাশে থাকা থেকে শিক্ষা নিয়ে সে একদিন সফল হবেই। সেদিন সকলে মিলে তার সাফল্য উদযাপন করবেন।
