সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সামনেই আইপিএলের মহা নিলাম। ইতিমধ্যেই নিয়ম জানিয়ে দিয়েছে বিসিসিআই। দ্রুত ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলিকে রিটেনশনের তালিকা জমা দেওয়ার কথা জানিয়েও দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আইপিএল নিলামের আগে নতুন জটিলতা। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের দাবি, বিসিসিআই রিটেনশনের নিয়মে ধন্ধে আইপিএলের ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো। তাদের ধারণা, রিটেনশনের জন্য বরাদ্দ ৭৫ কোটি টাকাই খোয়াতে হতে পারে।
আইপিএলের রিটেনশনের যে নিয়মাবলি এসেছে, তাতে প্রতিটা ফ্র্যাঞ্চাইজি সর্বাধিক পাঁচ জন ক্যাপড প্লেয়ারকে রিটেন করতে পারবে। সঙ্গে একজন করে আনক্যাপড প্লেয়ার। সেটা ‘রিটেনশন’ কিংবা ‘রাইট টু ম্যাচ’ কার্ড (আরটিএম) ব্যবহার করে রাখা যেতে পারে। কিন্তু সরাসরি যদি কোনও পাঁচজন ক্রিকেটারকে রিটেন করতে চায়, তা হলে সর্বাধিক খরচ পড়বে ৭৫ কোটি টাকা।
প্রথম ক্যাপড প্লেয়ারকে ধরে রাখতে খরচ পড়বে ১৮ কোটি টাকা। দ্বিতীয় ক্যাপড প্লেয়ার ধরে রাখার খরচ ১৪ কোটি টাকা। তৃতীয় ক্যাপড প্লেয়ার ধরে রাখার খরচ ১১ কোটি টাকা। চতুর্থ ও পঞ্চম ক্যাপড প্লেয়ার ধরে রাখার খরচ যথাক্রমে ১৮ ও ১৪ কোটি টাকা। সোজা হিসেবে, পাঁচজন ক্যাপড প্লেয়ার ধরে রাখার খরচ ৭৫ কোটি টাকা।
এবার নিলামের ‘পার্স’ বাড়ছে। এবার তা বেড়ে হচ্ছে ১২০ কোটি টাকা। কিন্তু রিটেনশনের পর যে টাকা থাকবে, তাতেই নিলাম থেকে প্লেয়ার কিনতে হবে। সমস্যা বেঁধেছে এখানেই। কারণ একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে বলা হচ্ছে, বোর্ডের নির্দেশিকায় রয়েছে তারা শুধুমাত্র দেখবে মোট ৭৫ কোটি টাকা খরচ হচ্ছে কিনা। রিটেন করা প্লেয়ারদের কাকে কত টাকা দেওয়া হচ্ছে, সেটা নিয়ে বোর্ড মাথা ঘামাবে না। যদি পাঁচজনকে রিটেন করতে গিয়ে ৭৫ কোটি টাকার বেশি খরচ হয়ে যায়, তাহলে সেই অতিরিক্ত টাকা মোট ১২০ কোটি টাকার থেকে কেটে নেওয়া হবে। তবে যেহেতু পাঁচজন প্লেয়ারকে দলে রাখতে সর্বোচ্চ ৭৫ কোটি টাকাই খরচ, সেটাও ফ্র্যাঞ্চাইজিদের কাছে চিন্তার বিষয় নয়।
কিন্তু তার পরই বলা হচ্ছে, যদি কোনও দল ৭৫ কোটি টাকার থেকে কম টাকা খরচ করে, তাহলেও তাদের থেকে সেই ৭৫ কোটিই কেটে নেওয়া হবে। সেক্ষেত্রে ফ্যাঞ্চাইজিগুলোকে বকলমে বলা হচ্ছে পাঁচজন প্লেয়ারকেই রিটেন করতে। সেখানেই ধন্ধে পড়েছে কয়েকটি ফ্র্যাঞ্চাইজির। একটি দলের কর্মকর্তার বক্তব্য, "তাহলে কি রিটেন করার ক্ষেত্রে যে কোনও মূল্য ব্যবহার করা যেতে পারে? ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর তো স্বাধীনতা থাকা দরকার, তারা কাকে কোন মূল্যে দলে রাখবে? তাহলে ১৮ কোটি, ১৪ কোটি বা ১১ কোটির ভাগাভাগির দরকার কী?"
স্বাভাবিকভাবেই বিভ্রান্তি ছড়ায় যে, যদি কোনও দল মাত্র দুজন বা তিনজন প্লেয়ারকে ধরে রাখতে চায়, তাহলে কী হবে? সেক্ষেত্রে বাকি টাকাটাও তো খোয়াতে হতে পারে। এই নিয়ম প্রকাশের আগে থেকেই জানা যাচ্ছিল, কয়েকটি দল তাদের অধিকাংশ প্লেয়ারকেই ছেড়ে দেবে। নিলামে তো তাদের তাহলে কিছুই থাকবে না!
তবে রিটেনশনের তালিকা জমা দেওয়ার জন্য হাতে এখনও কুড়ি দিন সময় আছে। ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর ধারণা, এর মধ্যেই বিস্তারিত রিপোর্ট হাতে আসবে। যেখানে এই বিষয়টা আরও বিস্তারিতভাবে জানানো হবে। এর জন্য কয়েকটি ফ্র্যাঞ্চাইজি বোর্ডের কাছে সম্পূর্ণ ব্যাখ্যাও আবেদন করেছেন বলে জানা যাচ্ছে।