সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত আইপিএলে প্রকাশ্যেই কে এল রাহুলকে তীব্র ভর্ৎসনা করার অভিযোগ উঠেছিল তাঁর বিরুদ্ধে। আইপিএলে রিটেনশন তালিকা প্রকাশিত হওয়ার পরে তারকা ব্যাটারকে ফের বিশ্রী খোঁচা দিলেন সেই সঞ্জীব গোয়েঙ্কা। তার পরে নেটদুনিয়ায় তুমুল কটাক্ষের মুখে পড়েছেন লখনউ সুপার জায়ান্টসের কর্ণধার। গোয়েঙ্কার অপমানজনক মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করেছেন জাতীয় দলের প্রাক্তন ক্রিকেটার ডোডা গণেশও।
আগেই জল্পনা ছিল, আসন্ন আইপিএলে রাহুলকে রিটেন করবে না লখনউ। বৃহস্পতিবার রিটেনশন তালিকা প্রকাশ হওয়ার পরে সেই জল্পনায় সিলমোহর পড়ে। তার পরেই সম্প্রচারকারী সংস্থায় গোয়েঙ্কা বলেন, "রিটেনশন নিয়ে আমাদের স্ট্র্যাটেজি খুব স্পষ্ট ছিল। যারা জেতার মানসিকতা নিয়ে মাঠে নামে, যারা ব্যক্তিগত উদ্দেশ্য এবং ব্যক্তিগত লাভের চেয়েও বেশি গুরুত্ব দেয় নিজের দলকে, সেই ক্রিকেটারদেরই রিটেন করা হয়েছে।" গোয়েঙ্কা আরও জানান, প্রথম রিটেনশন হিসাবে নিকোলাস পুরানের নাম চূড়ান্ত করতে ম্যানেজমেন্টের নাকি মাত্র ২ মিনিট সময় লেগেছিল।
গোয়েঙ্কার এই মন্তব্য ছড়িয়ে পড়তেই ক্রিকেটপ্রেমীরা অনুমান করেন, তিন মরশুমের মধ্যে দলকে দুবার প্লে অফে নিয়ে যাওয়া অধিনায়ক রাহুলকে উদ্দেশ্য করেই মূলত এই বার্তা। তার পর নেটদুনিয়ায় ব্যাপক ট্রোলের মুখে পড়েন গোয়েঙ্কা। ভারতীয় দলের জার্সিতে খেলা ডোডা গণেশ এক্স হ্যান্ডেলে সাফ লেখেন, "কী বোকার মতো কথা। নিজের অবস্থান ঠিক প্রমাণ করতে রিটেন না হওয়া প্রত্যেক ক্রিকেটারকে কাঠগড়ায় তুলে দিলেন।"
নেটিজেনদের একাংশের মতে, রিটেন না করলে রাহুলের সঙ্গে আলাদা করে দেখা করার কী প্রয়োজন ছিল গোয়েঙ্কার? গত আইপিএলের অন্যতম বিতর্কিত অধ্যায় ছিল কেএল রাহুল আর সঞ্জীব গোয়েঙ্কার ‘সংঘাত’। প্রকাশ্যে দলের অধিনায়ককে বকাবকি করছেন মালিক, এই দৃশ্য ঘিরে উত্তাল হয়েছিল সোশাল মিডিয়া। পরে সঞ্জীব গোয়েঙ্কা রাহুলকে নৈশভোজে আমন্ত্রণ জানিয়ে বিবাদ মেটানোর চেষ্টা করলে শান্ত হয় পরিস্থিতি। তার পরেও কলকাতায় এসে গোয়েঙ্কার সঙ্গে দেখা করেছেন রাহুল। শেষ পর্যন্ত অবশ্য সমস্যা মিটল না দুপক্ষের।