সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সুজন মুখোপাধ্যায় বনাম কলকাতা নাইট রাইডার্স। জিতলে সব ঠিক। হারলেই পিচে জুজু! হোম অ্যাডভান্টেজ না পাওয়া নিয়ে হইচই। এটাকেই দস্তুর করে ফেলেছে নাইটরা। আবার সুজন মুখোপাধ্যায় বা সিএবি কর্তারাও এই বিতর্কে পিছু হটতে নারাজ। সব মিলিয়ে বিতিকিচ্ছিরি অবস্থা। ইডেনের এই পিচ বিতর্ক নিয়ে প্রথমবার মুখ খুললেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। সরাসরি পিচ নিয়ে কিছু না বললেও, সৌরভ মানলেন হোম অ্যাডভান্টেজ পাওয়া উচিত ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলির।

এই মরশুমে ইডেনে এ পর্যন্ত ৩ ম্যাচের দুটিই হেরেছে কেকেআর। যার মধ্যে শেষ ম্যাচে লখনউ সুপার জানান্টসের বিরুদ্ধে ৪ রানের কষ্টের হারও রয়েছে। যে হারের পর নতুন করে পিচ নিয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েছিলেন রাহানে। কিন্তু কেন হোম অ্যাডভান্টেজ নিতে পারছে না নাইটরা? সৌরভকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলে গেলেন, "এটা রাহানেকেই জিজ্ঞেস করা উচিত। এই লাস্ট ম্যাচটাই একটা সময় তো রীতিমতো ছুটছিল নাইটরা। অনায়াসে একটা ওভার বাকি থাকতেই ম্যাচটা জেতা উচিত ছিল।"
আইপিএলের ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলির কি হোম অ্যাডভান্টেজ পাওয়া উচিত? প্রশ্নটির উত্তর খানিক মেপেই দিলেন 'মহারাজ'। সৌরভ বললেন, "হ্যাঁ, কেন পাবে না? কিন্তু এটা আরও অনেককিছুর উপর নির্ভর করে। আমি বুঝতে পারছি প্রশ্নটা কেন করা হচ্ছে, তবে ওই বিতর্ক নিয়ে আমি কিছু বলব না।" অর্থাৎ সরাসরি পিচ বিতর্ক নিয়ে কিছু বলতে না চাইলেও প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক মানলেন, হোম অ্যাডভান্টেজ পাওয়া উচিত দলগুলির। সৌরভ আশাবাদী, নাইটরা এই মরশুমেই ঘুরে দাঁড়াবে। তিনি বলছেন, "যথেষ্ট সময় আছে, ওদের ভালো ক্রিকেটারও আছে। রাহানে নিজে ভালো ফর্মে। আমার চিন্তা শুরু রিঙ্কু সিংকে এত নিচে ব্যাট করানো নিয়ে।"
ইডেনের পিচ নিয়ে চলতি মরশুমের শুরু থেকেই তির ছোড়াছুড়ি চলছে। প্রথম ম্যাচে আরসিবির বিরুদ্ধে হারের পরই রাহানে নিশানা করেছিলেন কিউরেটর সুজনকে। নাইট অধিনায়কের বক্তব্য ছিল, বাকি ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলি যেখানে হোম অ্যাডভান্টেজ পাচ্ছে, সেখানে কেকেআর বঞ্চিত। নাইটদের দাবি ছিল, র্যাঙ্ক টার্নার না হলেও পিচে টুকটাক ঘূর্ণি অন্তত থাকা উচিত। সুজনও সেসময় বলে দেন, ফ্র্যাঞ্চাইজির দাবি মতো পিচ বানাতে তিনি বাধ্য নন। পরে অবশ্য উপরমহলের কারও কারও হস্তক্ষেপে সমস্যা খানিকটা মেটে। সানরাইজার্স ম্যাচে নিজেদের অর্ডারমতো পিচ পেয়ে যায় নাইটরা। ওই ম্যাচ অনায়াসে জিতেও নেন রাহানেরা। লখনউ ম্যাচেও টুকটাক স্পিন চেয়েছিলেন রাহানেরা। কিন্তু মঙ্গলবারের ইডেনে সেই ঘূর্ণি মেলেনি। যার পর নতুন করে ক্ষোভে ফেটে পড়েন রাহানে।