দক্ষিণ আফ্রিকা: ২১৩/৪ (ডি কক-৯০, ফেরেইরা-৩০*, বরুণ- ২৯/৪)
ভারত: ১৬২/১০ (তিলক-৬২, জিতেশ-২৭, বার্টম্যান-২৪/৪)
দক্ষিণ আফ্রিকা জয়ী ৫১ রানে
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভাগ্যের চাকা ঘুরিয়ে টস জিতেছিলেন সূর্যকুমার যাদব। কিন্তু তাতেও ম্যাচ জেতা হল না। বিফলেই গেল তিলক বর্মার দাঁতে দাঁত চাপা লড়াই। প্রোটিয়াদের দুরন্ত ছন্দের কাছে হার মানল টিম ইন্ডিয়া। মুলানপুরে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি জিতে আপাতত সিরিজে সমতা ফেরালেন মার্করামরা।
গত ম্যাচে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করে ১০১ রানে ভারতের কাছে পরাস্ত হয় দক্ষিণ আফ্রিকা। বৃহস্পতিবার মার্করামের মতোই টস জিতে প্রথমে বোলিংয়ের 'সাহসী' সিদ্ধান্ত নেন সূর্য। পাটা উইকেটে শিশিরের কথা ভেবে প্রথমে প্রোটিয়াদের ব্যাট করতে পাঠান তিনি। কিন্তু লাভের লাভ কিছু হল না। উলটে একের পর এক ভারতীয় পেসারকে বাউন্ডারির বাইরে পাঠাতে থাকেন কুইন্টন ডি ককরা। ৪৬ বলে ৯০ রানের চোখ ধাঁধানো ইনিংস খেলেন দক্ষিণ আফ্রিকার ওপেনার। হেন্ডরিকস্ ৮ রানে আউট হলেও হাল ধরে নেন অধিনায়ক। ফেরেইরা ও মিলার অপরাজিত থাকেন যথাক্রমে ৩০ ও ২০ রানে। বুমরাহ, অর্শদীপদের চূড়ান্ত ব্যর্থতায় রানের পাহাড়ে পৌঁছে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা।
এদিন চার ওভারে ৪৫ রান দেন বুমরাহ। অর্শদীপ একাই এক ওভারে সাতটা ওয়াইড বল করে বসেন। চার ওভার হাত ঘুরিয়ে দেন ৫৪ রান! প্রোটিয়া ব্যাটারদের তাণ্ডবের সামনে খানিকটা ঢাল হয়ে দাঁড়ান অক্ষর প্যাটেল। ৩ ওভারে ২৭ রান দিয়ে এক উইকেট নেন অক্ষর। ২৯ রান দিয়ে ২ উইকেট বরুণের ঝুলিতে। তবে ততক্ষণে ২০০ রানের গণ্ডি পেরিয়ে গিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। সে রান তাড়া করতে গিয়েই রীতিমতো হিমশিম খেতে হল ভারতকে। বোলারদের মতোই এদিন ভীষণভাবে হতাশ করলেন ব্যাটাররাও। আরও একবার ব্যর্থ অধিনায়ক সূর্যকুমার (৫) এবং শুভমান গিল (৫)। আগামী বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে যে দুই তারকার উপর সবচেয়ে বেশি ভরসা রেখেছেন নির্বাচকরা, তাঁদের খারাপ ফর্মে ড্রেসিংরুমে চিন্তার ভাঁজ পড়াই স্বাভাবিক। গত ম্যাচে হার্দিক পাণ্ডিয়া জ্বলে উঠলেও এদিন ক্রিজ ছাড়েন ২০ রান করেই। ব্যাটিং ব্যর্থতার মাঝে আশার আলো দেখাচ্ছিলেন একা তিলব বর্মা। ৬২ রান করে দলকে ঘুরে দাঁড়ানোর রশদ জোগান তিনি। কিন্তু পরপর টেল এন্ডারদের পতনে ৫ বল বাকি থাকতেই ম্য়াচ শেষ হয়। একাই ৪ উইকেট তুলে নেন বার্টম্যান। এই জয়ে সিরিজ সমতায় ফিরিয়ে টি-টোয়েন্টির লড়াই আরও জমিয়ে দিলেন ডি ককরা।
