স্টাফ রিপোর্টার: মহেন্দ্র সিং ধোনির শহরে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে বিরাট কোহলির সেঞ্চুরি নিয়ে গোটা দেশ এখনও আবেগাক্রান্ত। দেশ-বিদেশের বিভিন্ন প্রাক্তন ক্রিকেটাররা প্রকাশ্যে কুর্নিশ করছেন কোহলিকে, তাঁর ব্যাটিং শৌর্যকে। বাদ যাচ্ছে না ভারতীয় টিমও। কুলদীপ যাদব। তিলক বর্মা। টিমের সহকারী কোচ রায়ান টেন দুশখাতে। প্রত্যেকে বিরাট-বন্দনায় ব্যস্ত।
রবিবার খেলা শেষে বিরাটের ইনিংস নিয়ে বিসিসিআই টিভিতে তিলক বলছিলেন, "আরও একটা অন্যতম শ্রেষ্ঠ ইনিংস দেখলাম। আরও ভালো লাগছে ভেবে যে, চোখের সামনে বিরাট ভাইকে ইনিংসটা খেলতে দেখলাম। গত সতেরো বছর ধরে ঠিক এ রকমই অবিশ্বাস্য ক্রিকেট খেলে যাচ্ছে বিরাট ভাই। কী ব্যাটিংয়ে, কী ফিল্ডিংয়ে। আমি শেখার চেষ্টা করি বিরাট ভাইয়ের থেকে।" কুলদীপের জাতীয় দলে যাত্রা আবার শুরু হয়েছিল কোহলির আমলে। রাঁচিতে প্রাক্তন ভারত অধিনায়কের ইনিংস দেখে কুলদীপের মনে হচ্ছিল, সাত-আট বছর আগের কোহলিকে মাঠে দেখছেন! "মনে হচ্ছিল, ২০১৭-১৮ সালের বিরাট ভাইকে দেখছি। কী অসামান্য ব্যাটিং করল! প্রতিটা বল ব্যাটের সঠিক জায়গা দিয়ে খেলছিল। নিজের উপর সম্পূর্ণ বিশ্বাস থাকলে, এ রকম ইনিংস খেলা যায়,” বলতে থাকেন কুলদীপ।
জাতীয় দলের তারকা স্পিনার সঙ্গে যোগ করেন, "ভাববেন না, শুধুমাত্র ব্যাট করেই কাজ শেষ হয়ে যায় বিরাটভাইয়ের। বরং বোলাররা কী করছে না করছে, তার প্রতিও সমান নজর থাকে। আমরা যখন বল করি, তখনও প্রচুর পরামর্শ পাই বিরাট ভাইয়ের থেকে।" আর রায়ান টেন? তিনি মনে করিয়ে দিয়েছেন যে, ভারত তার অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছতেই পারত না, যদি কোহলি সেঞ্চুরি না করতেন। রাঁচিতে প্রথম ব্যাট করতে হয়েছে ভারতকে। যে মাঠে সন্ধের পর থেকে প্রবল শিশির পড়ে। তাই বড় রান তুলতে হত ভারতকে। "বিরাটই আমাদের সাহায্য করেছে, প্রিমিয়ার স্কোরে পৌঁছতে। কারণ, রাঁচিতে পরে বোলিং করে ম্যাচ জেতাটা সহজ হয় না। প্রচুর শিশির পড়ে মাঠে। বল গ্রিপ করা কঠিন হয়ে যায়," বলে দিয়েছেন দুশখাতে।
